আসানসোল: নিজাম প্যালেসের বাইরে তখন সাংবাদিকদের ঠাসা ভিড়। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নিজামে। ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁকে মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন করেন Tv9 বাংলার সাংবাদিক। তখনই স্বমহিমায় অনুব্রতর উত্তর, ‘নাইনে কিছু বলব না…’। এখানেই শেষ নয়, বুম ঠেললেন, চেষ্টা করলেন কেড়ে নেওয়ারও। আর তারপর সজোরে ধাক্কা দিলেন। সেই খবর সম্প্রচার হতেই রীতিমত তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দল বিজেপি থেকে সিপিএম। মঙ্গলবার টুইটারে এই নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গেল বিজেপির বীরভূম জেলা ইনচার্জ জিতেন্দ্র তেওয়ারি।
মঙ্গলবার জিতেন্দ্র টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি ৮ পর্যন্ত পড়েছি তাই ৯ এর প্রশ্নের উত্তর দেব না।’ উল্লেখ্য, বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল অষ্টম শ্রেণি অবধি পড়াশোনা করেছেন। এরপর আর স্কুলমুখো হননি তিনি। এরপর বাবার দোকান চালাতেন বলে শোনা যায়। পরবর্তীতে ধীরে-ধীরে রাজনৈতিক উত্থান হয় তাঁর। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, টুইটারে সেই বিষয়টিকেই তুলে ধরে এ দিন বক্রোক্তি করেছেন জিতেন্দ্র।
আমি ৮ পর্যন্ত পড়েছি তাই ৯ এর প্রশ্নের উত্তর দেবনা@bangla_tv9
— Jitendra Tiwari * জিতেন্দ্র তিওয়ারি (@JitendraAsansol) August 16, 2022
বস্তুত, ভোট এলে ‘গুড় বাতাসা’, ‘নকুলদানা’, ‘পাঁচনের বারি’-র মতো একাধিক দাওয়াইয়ের কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। সেই অনুব্রতর নাম জড়িয়েছে গরু পাচারকাণ্ডে। কয়লা কেলেঙ্কারির অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। একাধিকবার সিবিআই হাজিরাও এড়িয়েছেন তিনি। এরপর গত সপ্তাহে গ্রেফতার হন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা। তাঁর গ্রেফতারি সংক্রান্ত একাধিক খবর করে TV9 বাংলা। তাহলে কি সেই রাগেরই প্রতিফলন ঘটালেন অনুব্রতবাবু?
শুধু জিতেন্দ্র তিওয়ারি নন, বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, ‘গতকালই তো ওঁর দলনেত্রী অক্সিজেন দিয়েছেন। দলনেত্রীর ফুল সাপোর্ট পেয়েছেন। তাই ওঁর অক্সিজেন চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।’
যদিও, তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, ‘এটা তাঁর নাগরিক অধিকার। বুম কেড়ে নেননি। আপনারা বুম দিয়েছেন তাঁর সামনে, তিনি সরিয়ে দিয়েছেন। কথা বলা না বলা তাঁর অধিকার। কে গেছেন কার কাছে?’