আসানসোল : হাতে মাত্র ১৫ দিন। শুধু প্রচার নয় রণকৌশল ঠিক করতে তৃণমূল প্রার্থীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়ে গেল আসানসোলে (Asansol)। আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক তাঁর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের ৩২ জন তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে সারলেন গোপন বৈঠক। বিএনআর মোড়ে তৃণমূল ভবনে প্রায় ঘণ্টা দু’য়েকের বৈঠক করেন তিনি। যদিও বৈঠকের পর তিনি কী কী বিষয়ে আলোচনা করলেন তা খোলসা করেননি। তবে তৃণমূল কী ভাবছে পুরভোট নিয়ে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। মন্ত্রীর দাবি এবার পুরভোটে কলকাতার থেকেও খারাপ ফল হবে বিজেপির। শুধু তাই নয় বিজেপি নির্দলের থেকে কম আসন পাবেন বলে তিনি দাবি করেন।
এদিন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জোর প্রচারে নামে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তাঁর স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারি ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী (BJP)। জিতেন্দ্র ও চৈতালি এদিন মহারুদ্রভিষেক করেন। ঘণ্টা তিনেক পুজো হয় রামকৃষ্ণডাঙালের শিব মন্দিরে। চৈতালি তেওয়ারি জানান, “প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গলকামনায় এই পুজো হয়েছে। প্রচারের নামার আগে পুজো তাঁরা প্রতিদিনই করছেন। জিতেন্দ্র তেওয়ারি দাবি করেন ভালো ফল করবে বিজেপি।”
পাশাপাশি মন্ত্রী মলয় ঘটকের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জিতেন্দ্র বলেন, “বিধানসভার নিরিখে আমরা ৬৬ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছি। মানুষ ভোট দিতে পারলে বিজেপিরই জয় হবে।” মন্ত্রী বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “এই ধরনের কথা বলা যায় তখনই যখন ছাপ্পা সন্ত্রাস রিগিং এর প্রস্তুতি থাকে। তাহলে হয়তো সেই প্রস্তুতি ওনারা করে রেখেছেন। গণতন্ত্রের হত্যা করলে কিছু আর বলার থাকে না।”
প্রসঙ্গত, আসানসোল পুরনিগম নির্বাচনের জন্য লড়াইয়ে নেমেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন সব মিলিয়ে ২৯ জন প্রার্থী। তার মধ্যে ৩ জন রয়েছেন কংগ্রেসের। বাকি ২৬ জনই নির্দল। তবে বিক্ষুব্ধ হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থীদের একটা বড় অংশ মননোয়ন প্রত্যাহার করলেন এদিন। তবু শাসক দলের কাঁটা গোঁজ প্রার্থীই।
মোট ৮৯ জন নির্দল প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিক্ষুব্ধ মেয়র পারিষদ সহ কাউন্সিলাররা নির্দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও শাসক দলের কাঁটা প্রাক্তন বিক্ষুব্ধ ডেপুটি মেয়র সহ ৬৩ জন প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পত্র তুলে নেন আসানসোল পুরনিগমের কুলটি এলাকার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী মীর হাসিম। আসানসোল পুরনিগমের বিদায়ী পুর বোর্ডের মেয়র পারিষদ ও পুর প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য ছিলেন মীর। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এবারের আসানসোল পুরনিগম নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়ে। তার পর তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Gangasagar Mela: হাইকোর্টের অনুমতি পেতেই গঙ্গাসাগর মেলার পরিষেবা প্রদানের শুভ সূচনা!