Asansol: ধসে বিধ্বস্তরা বিপদে পড়লে ইসিএলকে ছাড়ব না, হুঁশিয়ারি মমতার
Mamata Banerjee: মমতা বলেন, চিত্তরঞ্জনে লোকোমোটিভ কারখানায় অনেক কোচের অর্ডার করে দিয়েছিলেন। এখানে যাতে কোচ বেশি করে তৈরি হয়, তাঁর ব্যবস্থা করেছিলেন। বলেন, "জানি না আজ আপনারা কেমন আছেন। আজ তো রেল ডিপার্টমেন্টই তুলে দেওয়া হয়েছে। বাজেটও হয় না, অর্ডারও দেওয়া হয় না। শুনেছি টেন্ডার করে বিক্রি করার চক্রান্ত চলছে। এখানে ১১টা কয়লার খনিকে টেন্ডার করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।"
আসানসোল: ভোটপ্রচারে গিয়ে ইসিএল, কোল ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ভোটপ্রচারে আসানসোলে যান মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে প্রচার করেন তিনি। সেই মঞ্চ থেকেই মমতা বলেন, ৩০ হাজার মানুষ ধসের কারণে বিপর্যস্ত। কোনও বিপদ হলে ইসিএলকে ছাড়বেন না।
আসানসোলের কুলটিতে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার নির্বাচনী প্রচারে এসে খনি ধসের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৩০ হাজার মানুষ ধসের কারণে বিপর্যস্ত। এরপর কোনও বিপদ ঘটে গেলে আমি কিন্তু ইসিএল এবং কোল ইন্ডিয়াকে ছাড়বো না।”
মমতা বলেন, চিত্তরঞ্জনে লোকোমোটিভ কারখানায় অনেক কোচের অর্ডার করে দিয়েছিলেন। এখানে যাতে কোচ বেশি করে তৈরি হয়, তাঁর ব্যবস্থা করেছিলেন। বলেন, “জানি না আজ আপনারা কেমন আছেন। আজ তো রেল ডিপার্টমেন্টই তুলে দেওয়া হয়েছে। বাজেটও হয় না, অর্ডারও দেওয়া হয় না। শুনেছি টেন্ডার করে বিক্রি করার চক্রান্ত চলছে। এখানে ১১টা কয়লার খনিকে টেন্ডার করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।”
তবে তাঁর সরকার আসানসোলে শিল্পায়ন নিয়ে ভাবছেন বলে মমতা বলেন, এই আসানসোলেই ১২ হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট করে সেল গ্যাস হচ্ছে। স্থানীয় মানুষজন এখানে চাকরি পাবেন। পাশেই দেউচা পাচামিতে ৩২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। ১ লক্ষ ছেলে মেয়ে চাকরি পাবেন। ডানকুনি থেকে পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ধস পুনর্বাসন প্রকল্পে যে পরিমাণ অর্থ দরকার, তাতে ঘাটতি থাকায় আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ সে কাজ করতে পারেনি। অভিযোগ, যে সমস্ত জায়গায় আবাসন তৈরি হবে সেখানে ইসিএল জমি দিতেও অসহযোগিতা করছে। যদিও এ নিয়ে ইসিএলের তরফে কোনও বক্তব্য এখনও মেলেনি। তবে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যেখানেই আমরা আবাসন তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত করছি, সেখানে ইসিএল বলছে নিচে কয়লা আছে। এর জন্য এই প্রকল্প শেষ করতে আরও বিলম্ব হচ্ছে।”