ECI slams Mallikarjun Kharge: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চাইছেন খাড়্গে! কড়া চিঠি কমিশনের

ECI slams Mallikarjun Kharge: কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গকে তোপ নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনী তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে, তিনি গোটা প্রক্রিয়াতেই বাধাদানের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ। এর আগে এই বিষয়ে ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের একটি খোলা চিঠি দিয়েছিলেন খাড়্গে।

ECI slams Mallikarjun Kharge: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চাইছেন খাড়্গে! কড়া চিঠি কমিশনের
খাড়্গের সমালোচনায় কমিশনImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2024 | 4:40 PM

নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচন চলছে। তিন দফা ভোটগ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে। আরও চার দফা বাকি। এরই মধ্যে শুক্রবার (১০ মে), কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর কার্যক্রমে ‘বাধাদান’-এর অভিযোগ করল করার জন্য নির্বাচন কমিশন। ভোটদানের তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কমিশনের বিরুদ্ধে যে অব্যবস্থাপনা এবং অযথা দেরি করার অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি, তা এদিন ,সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে নির্বাচন কমিশন। মল্লিকার্জুন খাড়্গের সমালোচনা করে কমিশন বলেছে, ভোটদানের বিষয়ে কং সভাপতির বিবৃতি, ‘চলতি নির্বাচনী কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর আগ্রাসন’। এতে ভোটারদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কমিশন। এই বিষয়ে এদিন খাড়্গেকে একটি চিঠি দিয়েছে কমিশন।

কমিশনের মতে, কোনও তথ্য ছাড়া এই অযৌক্তিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট অভিযোগগুলি করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। কমিশন বলেছে, “নির্বাচন চলছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় বিভ্রান্তি, ভুল নির্দেশনা এবং প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার জন্যই, এর মধ্যে ভোটদানের তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত ভিত্তিহীন অভিযোগগুলি নকশা করা হয়েছে। এই ধরনের বিবৃতি ভোটারদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং দেশ জুড়ে এই বিশাল নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা হতাশ হয়ে যেতে পারেন।” কমিশন আরও বলেছে, “আমরা বাক-স্বাধীনতার অধিকারকে সম্মান করি। একে অপরকে চিঠি লেখা ও যোগাযোগ করা রাজনৈতিক দল এবং তাদের নেতাদের বিশেষাধিকার বলে মনে করি। তবে ফলাফল যে কাজগুলি নির্বাচন পরিচালনার মূল আদেশ প্রদানের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, ফলাফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত এমন ধরনের কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কমিশনের দায়িত্ব।”

প্রসঙ্গত, প্রথম দুই দফা নির্বাচনের পরই নির্বাচন কমিশনের ভোটদান সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি। সাধারণত, কত শতাংশ ভোট পড়েছে, সেই তথ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোট কত সংখ্যক ভোট পড়েছে তাও প্রকাশ করে কমিশন। কিন্তু, এবার শুধু শতাংশের হিসেব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে, এই তথ্য প্রকাশ করতে কেন দেরি হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর, ভোটগানের তথ্য প্রকাশ করতে ১১ দিন সময় লেগেছিল কমিশনের। এরপরই, চলতি সপ্তাহের শুরুতে এই বিষয়ে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলের সকল নেতাদের চিঠি লিখেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে।

চিঠিতে তিনি তিনটি বিষয়ের উল্লেখ করে, কমিশনের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, নির্বাচন কমিশন ভোটের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করছে না। ভোটদান সংক্রান্ক তথ্য প্রকাশে অনেক দেরি করছে। পরবর্তী দফার ভোটের জন্য ভোটারদের চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশ করছে না। এই ভাবে কমিশন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে চাইছে কিনা, সেই প্রশ্ন তোলেন খাড়্গে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন কং সভাপতি। এর বিরুদ্ধে, ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের সরব হতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, “আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে রক্ষা করা।”