AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Vande Bharat Express: আসানসোলে পুরোদমে চলছে বন্দে ভারত-এর ইঞ্জিন তৈরির কাজ, থাকবে একাধিক নতুন ‘ফিচার’

Vande Bharat Express: চলতি বছরের জুন মাসের শেষের দিকে এই সংস্থা রেলবোর্ডের তরফ থেকে 'বন্দে ভারত' ইঞ্জিন তৈরির বরাত পেয়েছে। মাত্র সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই সেটির ডিজাইন তৈরি করে ফেলা হয়।

Vande Bharat Express: আসানসোলে পুরোদমে চলছে বন্দে ভারত-এর ইঞ্জিন তৈরির কাজ, থাকবে একাধিক নতুন 'ফিচার'
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2023 | 1:56 PM
Share

আসানসোল: আসানসোলের চিত্তরঞ্জনে তৈরি হচ্ছে নতুন বন্দে ভারত-এর ইঞ্জিন। কয়েকদিন আগেই রেলইঞ্জিন কারখানায় এসে এ কথা জানিয়েছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। কারখানায় প্রবেশ করে দেখা গেল, পুরোদমে চলছে সেই কাজ। সেমি বুলেট ট্রেনের সেই ইঞ্জিন এবার আসছে নতুন চেহারায়। বন্দে ভারত-কে এবার নতুন রঙে, নতুন মোড়কে দেখা যাবে বলেই জানা গিয়েছে। চিত্তরঞ্জন রেলইঞ্জিন কারখানায় তৈরি হচ্ছে গেরুয়া-সাদা রঙের ট্রেনের ইঞ্জিন। প্রাথমিকভাবে ওই সংস্থাকে চারটি ইঞ্জিনের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এতে ৭০ বছরের পুরনো রেল ইঞ্জিন কারখানার গরিমা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

মাঝে থাকবে ২৪ টি যাত্রীবাহী কামরা। সামনে ও পিছনে থাকবে এই ইঞ্জিনগুলি। সামনের ইঞ্জিনটি ট্রেনটিকে টানবে এবং পিছনের ইঞ্জিনটি ঠেলবে। এটাকেই বলা হচ্ছে পুশ-পুল সিস্টেম। ইঞ্জিন তৈরি করার পর সেগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হবে আইসিএফ রেলওয়ে কোচ তৈরির কারখানায়। এরপর ২৪টি বগি লাগিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে সেই ট্রেন।

চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় সম্প্রতি জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্বে এসেছেন দেবপ্রসাদ দাস। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, চলতি বছরের জুন মাসের শেষের দিকে এই সংস্থা রেলবোর্ডের তরফ থেকে ‘বন্দে ভারত’ ইঞ্জিন তৈরির বরাত পেয়েছে। মাত্র সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই সেটির ডিজাইন তৈরি করে ফেলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, নতুন ইঞ্জিনগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে বাতাসের বাধা অনেকটাই কম থাকবে। সঙ্গে আরও অনেক ফিচার আনা হয়েছে।

জিএম জানিয়েছেন, এই ইঞ্জিন তৈরির ক্ষেত্রে সুরক্ষা কবচেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। লুকিং গ্লাস অনেক বড় করা হয়েছে, সিসিআর ভিসি প্রযুক্তি রাখা হয়েছে যাতে লোকো পাইলট যে সব বিষয়ে কথা বলবেন তা রেকর্ড হয়ে থাকবে। তিনি কোনও ভুল করে থাকলে সেটাও রেকর্ড হয়ে থাকবে। ফলে যদি কখনও কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তার পর্যালোচনা করা যাবে। অনেকটা বিমানের ব্ল্যাক বক্সের সঙ্গে থাকবে মিল। আরও জানা গিয়েছে, পিছনের ইঞ্জিনটিকে সামনে থেকেই কন্ট্রোল করা যাবে। ফলে আলাদা চালকের প্রয়োজন পড়বে না। থাকবে অত্যাধুনিক সিগনালিং ব্যবস্থা। এছাড়া, লোকো পাইলট নিজের কন্ট্রোল রুম থেকেই সিগনালিং বুঝে যাবেন বিশেষ লাইটের মাধ্যমে। স্টেশনের সঙ্গে চালকের কথোপকথন যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে ইঞ্জিনটি নিজে থেকেই ব্রেক নিয়ে থেমে যাবে। লোকো পাইলটের ঘরটি হবে এসি। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিনের কর্তা মনে করছেন, নতুন ইঞ্জিনটি যদি সফলভাবে চলে তাহলে আগামিদিনে আরও অর্ডার পাবে চিত্তরঞ্জন।

চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার ইনটাক নেতা নেপাল চক্রবর্তী বলেন, “আমরা গর্বিত। বাংলার মানুষ গর্বিত বন্দে ভারত তৈরি করতে পেরে। যদি এ ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য আসে, তাহলে আরও ইঞ্জিনের অর্ডার আরও পাওয়া যাবে।”