AR Rahman’s Louha Kapat Song: ‘আগুন নিয়ে খেলছেন’, ‘লৌহ কপাটের’ নয়া সুরে ফুঁসছে নজরুলের চুরুলিয়া

Chandra Shekhar Chatterjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 11, 2023 | 2:19 PM

AR Rahman's Louha Kapat Song: ক্ষোভে ফুঁসছে আপামর বাঙালি। সকলের একটাই কথা, গানের মধ্যে না আছে সেই বিপ্লবের তেজ, না আছে প্রতিস্পর্ধার চেনা সেই আগুন। উল্টে মজা করে কেউ কেউ বলছেন এ তো প্রতিবাদের গান কম, প্রেমের গানের বেশি হয়ে গিয়েছে।

AR Rahmans Louha Kapat Song: ‘আগুন নিয়ে খেলছেন’, ‘লৌহ কপাটের’ নয়া সুরে ফুঁসছে নজরুলের চুরুলিয়া
গানের সুর নিয়ে বিতর্কের ঝড় গোটা বাংলায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

আসানসোল: বিগত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে বিতর্কের ঝড়। ইউটিউবে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নেটিজেনরা। সকলের একটাই প্রশ্ন, এ আর রহমানের মতো প্রখ্যাত সুরকার এই গান বানালেন কী করে! সম্প্রতি এআর রহমানের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার এই লৌহ কপাট’ গানটি শেয়ার করা হয়েছে। তবে একেবারে নিজের সুরে সেই গান তৈরি করেছেন এ আর রহমান। পরিচালক রাজাকৃষ্ণ মেননের ছবি ‘পিপ্পা’য় ব্যবহার করা হয়েছে গানটি। তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। তা শুনেই ক্ষোভে ফুঁসছে আপামর বাঙালি। সকলের একটাই কথা, গানের মধ্যে না আছে সেই বিপ্লবের তেজ, না আছে প্রতিস্পর্ধার চেনা সেই আগুন। উল্টে মজা করে কেউ কেউ বলছেন এ তো প্রতিবাদের গান কম, প্রেমের গানের বেশি হয়ে গিয়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে কাজী নজরুল ইসলামের গ্রামে। ক্ষোভের আগুন কবিতীর্থ চুরুলিয়ায়। 

তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাজী পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবাদ জানানো হয়েছে নজরুল আকাদেমির পক্ষ থেকেও। গানটি না সরানো হলে তাঁরা আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কবির ভ্রাতুস্পুত্র ও চুরুলিয়া নজরুল আকাদেমির প্রতিষ্ঠাতা কাজী রেজাউল করিম রীতিমতো ক্ষোভের সুরেই বলছেন, “১০০ বছর আগে তৈরি যে গান শুনলে আজও বাঙালির মনে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে, যে গান স্বাধীনতা সংগ্রামের দিনগুলিতে আজও চোখের প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে সেই গানের সুর অনেক বদলে দিয়েছেন এ আর রহমান। এটা খুবই দুঃখজনক। উনি আগুন নিয়ে খেলছেন।” 

তিনি আরও বলছেন, “যে গান মানুষকে জাগিয়ে তোলেন, মানুষের প্রেরণা, সেই গানকে আমরা ভুলতে পারি না। সেখানে রহমান সাহেব কেন এটা করলেন আমরা জানি না। ওটা করার আগে ওনার আরও ভাবা দরকার ছিল। অন্ততপক্ষে কাজী নজরুল ইসলামকে সেটা নিয়ে জানা দরকার ছিল। উনি শুধু বাংলার কবি নন, গোটা ভারতের কবি। যে গানের হাত ধরে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছে সেই গানের সুর আমরা কী করে ভেঙে দেব, নষ্ট করে দেব। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমরা চাই এই সুর যেন আর কোনও জায়গাতেই প্রকাশিত না হয়। কোনও অনুষ্ঠানে যেন না বাজে। আরও প্রতিবাদ হোক আরও। বাঙালি জেগে উঠুক।” 

প্রসঙ্গত, নজরুল রচিত গানের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। সঙ্গীত জগতে গোটা বিশ্বের মধ্যে তা একটা বড় রেকর্ড বলে মনে করা হয়। এদিকে কবির নিজের গ্রাম চুরুলিয়ায় গেলে এখনও দেখা মেলে কবির ব্যবহৃত নানা জিনিস। রয়েছে গ্রামোফোন, তানপুরা, বিভিন্ন গানের পান্ডুলিপি। এখানেই রয়েছে তাঁর স্ত্রী প্রমিলা কাজীর সমাধিস্থল। রয়েছে নজরুল আদাদেমি। 

Next Article