রানিগঞ্জ: রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত। ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য বিবেক চৌধুরীকে এবার মেঘালয় থেকে পাকড়াও করল পুলিশ। শুক্রবার বিবেককে গ্রেফতার করা হয়, তারপর রবিবার ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় জেলায়। আগামিকাল অভিযুক্ত ডাকাত দলের সদস্যকে আসানসোল আদালতে পেশ করবে পুলিশ। রানিগঞ্জের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় এই নিয়ে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, বিবেকের বাড়ি বিহারের সিওয়ান জেলায়। ডাকাতির ঘটনার পর সিওয়ানেই পালিয়েছিল বিবেক। তারপর সেখান থেকে এক আত্মীয় সূত্র ধরে পৌঁছে যায় মেঘালয়ে। এক পাথরের খাদানে। কিন্তু মেঘালয়ের ওই দুর্গম এলাকায় গা ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হল বিবেকের। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধেয় মেঘালয়ের ওই খাদানে হানা দেয় পুলিশ। তখন খাদানেই আত্মীয়র সঙ্গে হাঁটছিল বিবেক। তার খোঁজ করতে করতে যে বাংলার পুলিশ মেঘালয়ের ওই পাথর খাদানে পৌঁছে যাবে, তা ভাবতেও পারেনি বিবেক। শুক্রবার সন্ধের অতর্কিত হানায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির অন্যতম অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই বিবেকের গ্রেফতারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেদিন ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের গুলির মুখে পড়ে ডাকাত দল দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। লুঠ করা সোনার সিংহভাগ অংশ নিয়ে বিবেক পালিয়েছিল মহম্মদ খালিদ নামে ডাকাত দলের অপর এক সদস্যের সঙ্গে। এই বিবেকই শেষ পর্যন্ত খালিদের সঙ্গে ছিল। সেই কারণে বিবেককে জেরা করে খালিদের হদিশ মিলতে পারে এবং সেই সঙ্গে লুঠ হওয়া সোনারও সন্ধান মিলতে পারে বলে অনুমান পুলিশকর্মীদের।