গুপ্তচর ও সন্ত্রাসবাদীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর লক্ষ্যে পানাগড়ে জরুরি বৈঠক পুলিশের

সৈকত দাস |

Jun 13, 2021 | 4:16 PM

পানাগড় ইলামবাজার রাজ্য সড়ক ও ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে যত হোটেল, লজ ও ধাবা রয়েছে, তাদের সমস্ত মালিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাঁকসা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অর্ণব গুহ।

গুপ্তচর ও সন্ত্রাসবাদীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর লক্ষ্যে পানাগড়ে জরুরি বৈঠক পুলিশের
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

দুর্গাপুর: সদ্যই কলকাতার অদূরে ঘটে গিয়েছে নিউটাউন শুটআউট (Newtown Shootout) কাণ্ড। এই প্রেক্ষিতে আরও সজাগ হচ্ছে রাজ্য পুলিশ। অন্যদিকে কলকারখানা, শিল্পাঞ্চল পরিবেষ্টিত আসানসোল-পানাগড়ের মতো জায়গাগুলিতে প্রশাসনের বাড়তি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদেশি গুপ্তচর ও অনুপ্রবেশকারী দুষ্কৃতীদের গতিবিধি। এই প্রেক্ষিতে রবিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসলেন জেলার পুলিশ কর্তারা।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড় (Panagarh) একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত। পানাগড়ে আছে দেশের মধ্যে অন্যতম বায়ু সেনা ও সেনা ছাউনির ঘাঁটি। অন্যদিকে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল এবং গ্যাস ডিপো। এছাড়াও বিভিন্ন কলকারখানা, রেল স্টেশন ও জাতীয় সড়ক অবস্থিত এই পানাগড়ে। সে কারণেই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সবসময়ই বাইরের মানুষজনের আনাগোনা লেগেই থাকে। এই ক’দিনের মধ্যে মালদা ও কলকাতার ঘটনায় সতর্কতা বাড়িয়েছে পুলিশ। পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়েও শুরু হয়েছে পুলিশ প্রশাসন‌ পক্ষ থেকে বাড়তি নজরদারি।

পানাগড় ইলামবাজার রাজ্য সড়ক ও ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে যত হোটেল, লজ ও ধাবা রয়েছে, তাদের সমস্ত মালিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাঁকসা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অর্ণব গুহ। প্রসাশনের পক্ষ থেকে সকল ব্যবসায়ীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তিকে দেখলেই সত্ত্বর পুলিশ প্রশাসন‌কে সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়াও হোটেল, ধাবাগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাপুরজির আবাসনে গুলির লড়াই চলেছে, ভুয়ো এনকাউন্টার হয়নি: STF রিপোর্ট 

হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের পুলিশ সতর্ক করে জানিয়েছে দুষ্কৃতীরা ভুয়ো নথি দেখিয়ে হোটেল বা লজে আশ্রয় নেয়। তাই হোটেল ও লজে আগত সবার স্বচিত্র পরিচয়পত্র যেন অবশ্যই জমা নেওয়া হয়। এবং অবশ্যই ভালো করে সেই সব নথি খতিয়ে দেখা হয়। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনও এলাকায় বাড়তি নজরদারি শুরু করবে বলে এদিনের বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করাকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যবসায়ী মহলও।

Next Article