পশ্চিম বর্ধমান: ভোট পরবর্তী অশান্তি (Post Poll Violence) মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন বীরভূমের নানুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য। শুক্রবার দুর্গাপুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে বেলা আড়াইটে নাগাদ হাজির হন তিনি। মূলত বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপের কল রেকর্ডকে সামনে রেখেই এই তলব করা হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে এই জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “তদন্তকারীরা যা জানতে চেয়েছেন, তার জবাব দিয়েছি। জানি না কতটা সন্তুষ্ট হয়েছেন।”
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনই ইলামবাজারের গোপালনগরের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে সামনে রেখে ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় একাধিক জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই। মূলত অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে এদিন ফোনে কার কার কথা হয়েছিল সেই লিস্ট ধরে তলব করা হচ্ছে। সকলকেই ডাকা হচ্ছে দুর্গাপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে।
সেইমতোই শুক্রবার ডাকা হয় নানুরের তৃণমূল নেতা সুব্রত ভট্টাচার্যকে। জিজ্ঞাসাবাদপর্ব শেষে সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “বিভিন্ন দিনের কলরেকর্ড নিয়ে ডাকা হয়েছিল। জেলা সভাপতির সঙ্গে ব্লক সভাপতির কলরেকর্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে। আমার বক্তব্য, সবটাই আমার রাজনৈতিক কথাবার্তা। আমার জেলা সভাপতি আমারই ব্লকের লোক। আমার ব্লকের প্রতিটা গ্রামের তৃণমূল কর্মী, সমর্থককে উনি চেনেন। তাঁকে কিছু বললে উনি আমাদের সে বার্তা দেন। আমরা সেইমতো কাজ করি। ভোটের সময় কোন বুথে কী ফল, তা জানতে উনি খুবই আগ্রহী। তা জানতে কথাও বলেছেন। ভোটের পরও যেখানে আমরা দুর্বল সেখানে কীভাবে আরও ভাল করা যায় তা নিয়ে জেলা সভাপতি বারবার বলেছেন। এগুলো সবই ফোনে কথা হয়েছে। সেটাই বললাম। সিবিআই অনেকরকম ভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার চেষ্টা করেছিল। আমি আমার কথা বলে গেছি। প্রায় ঘণ্টা তিনেক ছিলাম।”