আসানসোল: ট্রেন ধরতে যেতে হয় বহু দূর। সে কারণেই হল্ট স্টেশনের দাবিটা উঠছিল অনেকদিন থেকেই। আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের কাছেও নিজেদের সমস্যার কথা বলেছিলেন কালীপাহাড়ি ও রানিগঞ্জের মাঝে থাকা প্রায় ১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা। তারপরই রেলকে চিঠিও দিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা। অবশেষে অগ্নিমিত্রার আবেদনে সাড়া দিল রেল। কোয়ারডিহিতে পরিদর্শন করলেন আসানসোল রেল ডিভিশনের আধিকারিকরা। ঘুরে দেখলেন এলাকা। সঙ্গে রইলেন অগ্নিমিত্রা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আশপাশে বহু গ্রাম রয়েছে যেখানকার বাসিন্দাদের ট্রেন ধরতে বহু দূর যেতে হয়। টিরাত, চাপুই ,রতিবাটি, চেলোদ, কুমাডি, হাড়ভাঙা নিমচার মানুষদের এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্কুল, কলেজ বা কর্মক্ষেত্রে যেতে হয় রানিগঞ্জ নয়তো কালীপাহাড়ি বা আসানসোল। সেখান থেকে ট্রেন ধরে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারেন তাঁরা। সে কারণেই সব গ্রামের মানুষদের সুবিধার্থে হল্ট স্টেশনের দাবি উঠছিল। তাঁদের দাবি মেনেই আসানসোলের ডিআরএম ও রেলমন্ত্রীর কাছে অগ্নিমিত্রা পাল এই প্রস্তাব রাখেন। অবশেষে এদিনই রেলের তরফে সরেজমিনে গোটা এলাকা দেখা হয়। তাতেই নতুন করে ভরসা পাচ্ছেন এলাকার লোকজন।
অগ্নিমিত্রা পাল বলছেন, স্টেশনের দাবি এখানে অনেক পুরনো। এখানে একটি লোকাল ট্রেনের হল্ট স্টেশন হলে এখানকার মানুষের বিশেষ সুবিধা হবে। ওদের দাবি শুনেই আমরা বিষয়টি রেলকে জানিয়েছিলাম। বিধায়ক আরও বলছেন, যদি কোনও বড় সমস্যা না থাকে তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীর এখানে হল্ট স্টেশন করবেন। তবে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। অঞ্চলের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান বিনোদ নুনিয়া বলছেন, অনেকেই তো এলেন। কাজের কাজ কিছুই হল না। এখন ভোট এসেছে। তাই এসব করছেন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।