দুর্গাপুর: অস্থায়ী কর্মীদের লাগাতার আন্দোলন। আর তার জেরেই থমকে SBSTC বাস পরিষেবা। যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। তার পরেই পরিবহণ মন্ত্রীর আশ্বাস, অস্থায়ী কর্মীরা মাসে ২৬ দিন যাতে কাজ পান, তা নিশ্চিত করা হবে। বিবেচনা করা হবে অন্য সব দাবিও। কিন্তু সেই আশ্বাসেও চিড়ে ভেজেনি। উত্সবের মুখে ফের সচল হবে চাকা? যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা আদৌ তৃণমূলের কেউ নন বলে এবার দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। কারণ বিক্ষোভকারীরা দলের গাইডলাইন মানছেন না।
এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে শান্তনু সেন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বাংলায় বন্ধ, অবরোধের কালচারটা উঠে গিয়েছি। তৃণমূল এই নীতিতে বিশ্বাস করে না। আমাদের আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি ঋতব্রত বলেছেন, যাঁরা এটা করছেন, তাঁরা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আমাদের ট্রেড ইউনিয়নের কেউ নন।”
তিনি বলেন, “যাঁরা এই আন্দোলন করছেন. তাঁদের ইস্যু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সংবেদনশীলতার সঙ্গেই দেখছেন।” তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বক্তব্য, বিক্ষোভকারীরা পার্টির লাইন মেনে চলছেন না।
শান্তনু সেনের এই মন্তব্যে বেশ কিছুটা আবেগপ্রবণ হতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। তবে তাঁরা নিজেদের দাবিতে অনড়। দুর্গাপুরের আইএনটিটিইউসি-র নেতা শমীক সরকার বলেন, “জোড়া ফুল- তৃণমূল করছি আমি। আমরা যদি তৃণমূল না করি, তাহলে কী বলব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মা। আমাদের আজ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। যদি পরিবহণমন্ত্রী দাবি না মানেন, তাহলে বউ বাচ্চাকে রাস্তায় শুইয়ে দেব।”
অন্য আরেক নেতা, “এখন যদি ওঁরা বলে দেন, আমরা তৃণমূলের কেউ নই, তাহলে তো আর প্রমাণ করতে পারব না। তবে আমরা মায়ের ছেলে। আজ কোমর মাটিতে ঠেকে গিয়েছে। তাই এই আন্দোলন।”