AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Asansol BLO: কেউ ধরনায়- কেউ কাঁদছেন, কেউবা অসুস্থ, ব্যতিক্রমী আসানসোলের BLO করুণা আর বিনীতা

Asansol BLO: করুণা আসানসোলের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৭ নম্বর বুথের কাজ করেছেন। বিনীতা সালানপুর ব্লকের ১১৫ নম্বর বুথের বিএলও। উত্তর আসানসোল বিধানসভা কেন্দ্রের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৭ নম্বর বুথের দায়িত্ব পেয়েছিলেন করুণা মাজি। তিনি রাধানগর রোড শ্যামাদেবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।

Asansol BLO: কেউ ধরনায়- কেউ কাঁদছেন, কেউবা অসুস্থ, ব্যতিক্রমী আসানসোলের BLO করুণা আর বিনীতা
আসানসোলের ব্যতিক্রমী ২ বিএলওImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2025 | 3:09 PM
Share

আসানসোল: কেউ কেউ কাজের চাপ নিতে পারছেন না। কান্নাকাটি করছেন। কেউ আবার ২০ দিনের মাথায় এসআইআরের সমস্ত কাজ শেষ করে ফেললেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের উত্তর আসানসোলের করুণা মাজি ও সালানপুর ব্লকের BLO বিনীতা কুমারী। জেলায় দ্রুত শেষ করে ফেললেন SIR এর কাজ।

করুণা আসানসোলের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৭ নম্বর বুথের কাজ করেছেন। বিনীতা সালানপুর ব্লকের ১১৫ নম্বর বুথের বিএলও। উত্তর আসানসোল বিধানসভা কেন্দ্রের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৭ নম্বর বুথের দায়িত্ব পেয়েছিলেন করুণা মাজি। তিনি রাধানগর রোড শ্যামাদেবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তাঁর ভোটার সংখ্যা ৬৭১। করুণা মাজির বাড়ি আসানসোলের রাধানগর রোডে। তিনি স্কুটি নিয়ে তাঁর বুথকেন্দ্রে যেতেন। দুবেলা কাজ করেছেন। রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করেছেন তিনি। করুণা মাজি জানান, দুর্গা পুজোর সময় থেকেই তিনি ম্যাপিংয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। গত ১৫ বছর ধরে ওই এলাকায় তিনি শিক্ষকতা করছেন। তাই এলাকার মানুষকে চিনেন এবং সকলের সহযোগিতা পেয়েছেন বলে দ্রুত কাজ শেষ করতে পেরেছেন। ২১ দিনের মাথায় এসআইআরের কাজ শেষ করেছেন ওই বিএলও।

আসানসোলের সালানপুর ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনীতা কুমারী। তিনি সালানপুর ব্লকের ১১৫ নম্বর বুথের বিএলও। ওই বুথে ভোটারের সংখ্যা ৭৩২ জন। গত ৪ নভেম্বর থেকে এসআইআরের কাজ শুরু হয়। ওই বুথের সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দিয়ে, সেই ফর্ম ফিল-আপ করিয়ে পুনরায় জমা নিয়ে, ফর্মের তথ্য ডিজিটালি তুলে দিয়ে ডিজিটাইজেশনের কাজ করে ফেলেছেন বিনীতা কুমারী। সালানপুর ব্লকে তিনি বিডিওর হাতে সম্পূর্ণ ফর্ম তুলে দিয়েছেন এবং ২০ দিনের মধ্যেই এসআইআরের কাজ শেষ করেছেন ওই বিএলও।

মহকুমা শাসক বলেন, “অসাধারণ কাজ করেছেন ওই দুই BLO। নির্ভুল কাজ হয়েছে।” উত্তর আসানসোলে বাসিন্দা তথা ভোটাররাও বলছেন, তাঁদের BLO খুব ভালো কাজ করেছেন। জেলায় সেরা হয়েছেন। তিনি তার দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। আর যাঁরা ধরনা অবস্থানে বসছেন কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাঁদের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ভোটাররা।