Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন বাবুল? শুভেন্দু বললেন, ‘ফোন ট্যাপ করি না, জানা নেই’

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Sep 21, 2021 | 12:49 AM

Babul Supriyo: বাবুলের মতে, তিনি বর্তমানে বিজেপির প্রথম একাদশে নেই। বস্তুত, তাঁকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলেই ইঙ্গিত করছেন সাংসদ।

Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন বাবুল? শুভেন্দু বললেন, ফোন ট্যাপ করি না, জানা নেই
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

পশ্চিম বর্ধমান: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) তৃণমূলে যোগদানের পরেই রাজ্যের বিরোধী শিবিরের সাংগঠনিক পরিকাঠামো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। যদিও বিজেপির দাবি, বাবুলের দলত্যাগে বিজেপির (BJP) কোনও ক্ষতি হবে না।

সোমবার আসানসোলের বিজেপির কর্মিসভায় এসে বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “তৃণমূলে অনেকেই যোগ দিচ্ছেন। কেউ কেউ ক্ষমতা পেতে  তৃণমূলে যাচ্ছেন। আর বাকিদের জোর করে ভয় দেখিয়ে দলে যোগ দেওয়ানো হচ্ছে।” যদিও, বিজেপির তরফে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সে প্রসঙ্গে অধিকারী পুত্র বলেন, “আমরা তো তৃণমূলের মতো ফোন ট্যাপ করি না। তাই কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়ে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতেই পারেন। সেখানে কী করে কে কাকে ফোন করবে তা তো বলতে পারব না। আমার ফোন তো ওই দলে থাকাকালীন ট্যাপ করা হত।”

সাত বছর বিজেপিতে থাকার পর কেন তিনি দল বদল করলেন, রবিবাসরীয় বিকেলে তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা এক লাইনেই দিয়ে দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। শহরের একটি হোটেল সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট ভাষায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বলেন, “আমি প্রথম একাদশে থেকে খেলতে চাই। যদি মোহনবাগানের প্রথম একাদশে সুযোগ না পাই, তাহলে মোহনবাগান বি-টিমের হয়ে খেলব না। দরকারে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলব।” তাঁর বক্তব্য খুব সাফ, “কারোর কাছে নিজেকে আমায় প্রমাণ করার দরকার নেই। কিন্তু আমি সুযোগকে কাজে লাগাতে চাই। মমতাদি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝেছেন যে আমার মধ্যে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। সেই জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।”

বাবুলের মতে, তিনি বর্তমানে বিজেপির প্রথম একাদশে নেই। বস্তুত, তাঁকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলেই ইঙ্গিত করছেন সাংসদ। তবে কি মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর কারণেই বিদ্রোহ? রবিবারের সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি এই প্রশ্নও ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল বাবুলের উদ্দেশ্যে? সদুত্তর দেননি বাবুল সুপ্রিয় বড়াল। তৃণমূলের প্রথম একাদশের অর্থ কি তাঁকে রাজ্য সরকারে কোনও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে? এই প্রশ্ন ধেয়ে আসলেও এড়িয়ে যান লোকসভার সাংসদ। বরং বারবার করেই শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের মুখাপেক্ষী হন তিনি।

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার এই ঘটনাকে ‘বিরাট বড় সুযোগ’ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন বাবুল। পাশাপাশি জানিয়েছেন, যা ঘটার গত ৪ দিনেই ঘটেছে।যদিও বাবুল বারবার করে মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাজনীতি ছাড়ার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন, তাতে কোনও ভনীতা ছিল না। তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার তাঁর সিদ্ধান্ত যে বিরাট বড় একটা সুযোগ, এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে তাঁকে আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই কোনও গুরুদায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে আসা রাজ্যসভার আসনে তাঁকে প্রার্থী করে ফের একবার দিল্লি পাঠাতে পারে তৃণমূল। কারণ তিনি যে আসানসোলের সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন, সে কথা এ দিন সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই স্বীকার করেছেন এই সাংসদ। তৃণমূল যে উষ্ণতা নিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে, তাতে তিনি ‘আপ্লুত’ বলেও উল্লেখ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়।

আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরেছে মোদী-পদ্মের ছবি, জিতেন্দ্রর গতিপ্রকৃতিতে জল্পনা!

 

Next Article