আসানসোল: শিশু মৃত্যুকে(Child Death) কেন্দ্র করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে(Asansol District Hospital) ব্যাপক উত্তেজনা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে রবিবার আসানসোল(Asansol) জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় রোগীর আত্মীয়েরা। যার জেরে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় এমার্জেন্সি বিভাগ। সমস্যায় পড়েন হাসপাতালে আসা রোগীরা। মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আসা বিচারাধীন বন্দিদেরও ভোগান্তি বাড়ে। অন্যদিকে একাধিক রোগে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে যে সমস্ত রোগীরা স্থান্তরিত হয়ে আসানসোল জেলা হাসাপাতালে ভর্তি হন, তাঁরাও চরম ভোগান্তির শিকার হন।
সূত্রের খবর, আসানসোলের বুধা চমনতলাওয়ের বাসিন্দা মহম্মদ সোনুর দুই বছরের সন্তান কয়েকদিন থেকে জ্বরে ভুগছিল। সম্প্রতি আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগের এক চিকিৎসকের কাছে শিশুটিকে নিয়েও আসেন পারিবারের সদস্যরা। এরপর শুধু ওষুধ নিয়ে বাড়ি চলে যায়। তবে সূত্রের খবর, শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় চিকিৎসক শিশুটিকে ভর্তি করতে বলেছিলেন। কিন্তু পরব থাকায় বাড়ি নিয়ে চলে যায় তার সদস্যরা। এরপর বাড়িতে সেই ওষুধ খাওনোর পর শিশুটি অচৈতন্য হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরাল তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই খবরের চাউর হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে চত্বরে। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে এমার্জেন্সি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা। লন্ডলন্ড করে দেওয়া হয় হাসপাতালের সমস্ত ফাইলপত্র। যে চিকিৎসক ওই শিশুটিকে দেখছিলেন তাঁকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। মাঠে নামে উত্তর থানার পুলিশও। নামানো হয় ব়্যাফ-কমব্যাট ফোর্সও। ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। ধীরে ধীরে রোগীর পরিবার তদন্তের দাবি করলেও ময়নাতদন্তে আপত্তি তোলে। এই নিয়ে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। শেষ পর্যন্ত রোগীর পরিবার ময়নাতদন্তে রাজি হয়। তদন্তের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে। তবে এদিনের ঘটনায় ফের সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ৫ দিন আগেই ডায়রিয়া আক্রান্ত এক যুবকের মৃত্যুতে ভাঙচুর হয়েছিল। এদিন ফের একই ঘটনা ঘটায় বাড়ছে উদ্বেগ।