দুর্গাপুর : সিপিআই(এম)-এর দলীয় কার্যালয়ে আগুন। পুড়ে গিয়েছে অনেক কিছুই। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও খোলাসা করে জানা যায়নি।
সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনের অটো চালকরা প্রথম দেখতে পান যে সিপিআই(এম)এর দলীয় কার্যালয় থেকে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এরপরেই স্থানীয় নেতৃত্বকে খবর দেন তাঁরা।
দলীয় কার্যাললের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায় ঘরের চারিদিকে জ্বলছে। পুড়ে গিয়েছে পার্টি অফিসের ভেতরে থাকা টিভি। এরপর দমকল কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। খবর যায় স্থানীয় বিধাননগর ফাঁড়িতেও। অভিযোগ দমকল কর্মীদের খবর দেওয়ার অনেক পড়ে তারা ঘটনাস্থানে আসে। শট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকল কর্মীদের। প্রায় আধ ঘন্টার চেষ্টায় দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় এক সিপিআইএম কর্মী জানান, “আমরা বাড়ির ভিতরে ছিলাম। খেয়াল করিনি। এখানকার ছেলেরা পরে তালা ভাঙে। ঘরের ভিতর ঢুকে দেখি অধিকাংশ জিনিস পুড়ে গিয়েছে। দমকলকে খবর দিলেও সঠিক সময়ে তাঁরা এসে উপস্থিত হয়নি।”
উল্লেখ্য, গতমাসে পার্টি অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যদিও ঘটনাস্থান ছিল ত্রিপুরা। একাধিক দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ও ভাঙচুর চালনো হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। রাতভর তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাম নেতারা। তাদের দাবি, বিজেপিই (BJP) এই ভাঙচুর চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছে বাম শিবির। তাদের দাবি, পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৬ সেপ্টেম্বর। দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বাম নেতা মানিক সরকারকে। এরপর সিপিএমের বিক্ষোভ শুরু হয়। জানা গিয়েছে, গতকাল ত্রিপুরার উদয়পুরে বিজেপির এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। আর তারপরই বিজেপি দাবি করে যে তারা রাজ্য জুড়ে প্রতিরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে। গতকালের পর আজ সকাল পর্যন্ত একের পর এক হামলার অভিযোগ সামনে আসছে। বিশালগড়, উদয়গড়ে বামেদের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে আগরতলার রাজ্য দফতর, সব জায়গাতেই তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বেশিভাগ কার্যালয়েই আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিজেপির দাবি, তাদের কর্মীকে মারধরের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন দলের কর্মীরা। গত সোমবার ধনপুর এলাকায় যখন মানিক সরকার যখন ঢুকতে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এরপরই আগ্রাসী মেজাজ ধারণ করেন এলাকার সিপিএম কর্মীরা। এই ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। সেই ধিক্কার মিছিল চলাকালীনই বুধবার ত্রিপুরার বেশ কিছু এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। অগ্নিসংযোগ করা হয় একাধিক সিপিএম কার্যালয় এবং সংবাদ মাধ্যমের গাড়িতে।