আসানসোল : বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে (Jitendra tiwari) নাম না করে কটাক্ষ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek banerjee)। ‘সব থেকে বড় কয়লা চোর’ বলে কটাক্ষ। পাল্টা দিলেন জিতেনও। পশ্চিম বর্ধমানে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি’র দ্বিতীয় দিনে বুধবার জনসংযোগ যাত্রার এক জনসভা থেকে আক্রমণাত্মক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এ দিন বিকেলে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের লাউদোহা ফুটবল ময়দানে হওয়া জনসভা থেকে ‘কয়লার চোরা কারবার ও কয়লা মাফিয়া’ ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একইসঙ্গে তিনি দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ও ইডির বিশ্বাসযোগ্যাতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘১৫ বছর হয়ে গেল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরি। সিবিআই কী করেছে? জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দূর্ঘটনার কী হয়েছে? সারদার টাকা মানুষেরা পেয়েছেন? নারদায় যাকে কাপড়ে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে,তিনি বিজেপির এখন বড় নেতা।’
অভিষেক বলেন,”বিজেপি যে কয়লা কেলেঙ্কারির কথা বলে, এই পাণ্ডবেশ্বর এলাকার সবচেয়ে বড় কয়লা মাফিয়া (নাম না করে) ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় কয়লা মাফিয়াকে নিজেদের দলে নিয়ে বিজেপি প্রার্থী করেছিল। কিন্তু এলাকার মানুষ তাঁকে প্রাক্তন বিধায়ক বানিয়েছেন। এখন থেকে তিনি আজীবন প্রাক্তন বিধায়কই থাকবেন।” এরপর তৃণমূল নেতার উক্তি, “২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পরে তিনি বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে নেতাদের ধরে ১০০ বার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু যে তৃণমূল কংগ্রেস ও জনসাধারণের সঙ্গে বেইমানি করবে তারজন্য তৃণমূল কংগ্রেসের দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।”
কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের যোগসাজশের অভিযোগ করে অভিষেক বলেন,”কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। অপর কয়লা মাফিয়া জয়দেব খা-কে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মন্দির পরিদর্শণ করতে দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর সঙ্গে তাঁর ছবি প্রকাশিত হয়েছে।” অভিষেক সুড় চড়িয়ে বলেন, “বড় চোরেরা বিজেপিতে যোগ দেয়। বিজেপি এমন একটি ওয়াশিং মেশিন পার্টি। যেখানে যোগ দেওয়ার পরে তাদের সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করা হয়। কালো কাপড় একবার সাদা হয়ে যায়।”
যদিও, অভিষেকের মন্তব্যের পর চুপ থাকেননি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, “উনি আমার নাম করে বলেননি। অতীতে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক সিপিএমও ছিলেন। হতে পারে তাঁকেই বলেছেন। তবে এটুকু বলতে পারি আগামী দিনে তৃণমূল বিভাজন হবে দু’টো মেরু তৈরি হবে। তার আরেকটা মেরু হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এভাবেই তৃণমূলের পতন হবে। পাশাপাশি এও বলেন, “এই দলের বিধায়করা বিভিন্ন জায়গায় গেলে চোর চোর বলে গ্রামের মানুষ স্লোগান দেয়। বিজেপির কাউকে চোর বলেন না। বরং তৃণমূলের বিধায়কদের এই কটুক্তি শুনতে হয়।”