আসানসোল: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যোগাযোগ করা হয়েছে ইসিএলের সঙ্গেও। অতীতে আসানসোলের রানিগঞ্জেও এক ভয়ঙ্কর অঘটন ঘটেছিল। খনি দুর্ঘটনায় আটকে পড়েছিলেন শ্রমিকরা। সে ঘটনা প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় আগের। ১৯৮৯ সালের কথা। ওই সময় এক বিশেষ অভিযানে ৬৫ জন শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করেছিল ইসিএল। মাটির নীচে ড্রিল করে ক্যাপসুল নামিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়েছিল। ইসিএলের সেই অভিজ্ঞতাকে এবার উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজে ব্যবহারে করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কয়লা মন্ত্রকের তরফে ইসিএলের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সেই সময় কীভাবে কাজ হয়েছিল, কী পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল… সেই সব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
গত ১২ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে ওই নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ হঠাৎ ভেঙে পড়ে। তখন সুড়ঙ্গের ভিতরে কাজ চলছিল। আচমকা এই ঘটনায় সুড়ঙ্গের মধ্যে ৪১ জন শ্রমিক আটকে পড়েন। সেই থেকে লাগাতার চেষ্টা চালানো হচ্ছে শ্রমিকদের উদ্ধার করার। উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনও তাঁদের সুড়ঙ্গের বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়নি।
যদিও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন, খাবার ও পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের কাছে। কিন্তু তাঁদের উদ্ধার না করা পর্যন্ত বিপদ কাটছে না। এমন অবস্থায় তাই ইসিএল-এর পূর্ব অভিজ্ঞতা জেনে নিচ্ছে কেন্দ্র। কোল ইন্ডিয়ার আসানসোল সিএমপিডিআইএলের একটি টিমও উত্তরকাশীতে পৌছে গিয়েছেন।
ইসিএলের ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল) নীলাদ্রী রায় জানান, মহাবীর খনির দুর্ঘটনায় উদ্ধারের পদ্ধতি জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁদের কাছে। সেই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট টিমকে। এর পাশাপাশি যে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ওই সময়ে ইসিএল ড্রিলের কাজ চালিয়েছিল, সেই সংস্থার সঙ্গেও কথা বলিয়ে দেওয়া হয়েছে।