পশ্চিম বর্ধমান: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জামুড়িয়ায় বেসরকারি ব্যাঙ্কিং পরিষেবা কেন্দ্রে লুঠের অভিযোগ উঠল। সোমবার রাতে জামুড়িয়া থানার দামোদরপুরের ওই কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে তিন দুষ্কৃতী। দু’জনের হাতে ধরা ছিল বন্দুক, তৃতীয়জনের হাতে বোমা। বন্দুক দেখিয়ে ক্যাশবাক্স থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা নিয়ে তারা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। সেখান থেকে বেরোনোর সময় বোমাবাজিও করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সোমবার রাতে চাঞ্চল্য ছড়ায় দামোদরপুরে। খবর দেওয়া হয় জামুড়িয়া থানায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসে পুলিশ। কথা বলে ওই অফিসের কর্মীদের সঙ্গে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখছে তারা। এদিকে খবর পেয়ে অকুস্থানে যান তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং। বিধায়ক বলেন, এই ধরনের ঘটনা এলাকায় আগে কখনও ঘটেনি। যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের খুঁজে বের করে যথাযথ শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
দোকানের মালিক তারকনাথ মণ্ডলের ভাই দেবনাথ মণ্ডল বলেন, “আমাদের এই দোকানে অনলাইনে কাজ হয়। ব্যাঙ্কের কাজকর্ম হয়। মানি ট্রান্সফারের কাজও হয়। এদিনও প্রায় ৪০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করি। সবই ক্যাশবাক্সে রাখা ছিল। রাতের দিকে দোকানে বসে কাজ করছিলাম। হঠাৎই দেখি একজন ঢুকল, হাতে পিস্তল। পিছনে আরও একজন। পিস্তল উঁচিয়ে বলছে যা আছে দে। আমি তখন ক্যাশের সামনে চেয়ারে বসে। দেখেই ভয় পেয়ে যাই। এরইমধ্যে বাইরে একজন দাঁড়িয়ে ছিল হাতে বোমা। আমাকে আবার বোমা তুলে দেখাচ্ছিল। বলছে, কোনও আওয়াজ করলেই বোমা ছুড়ে মেরে দেবে। এরপরই ড্রয়ারে যা ছিল সব নিয়ে নিল। ক্যাশবাক্স ফাঁকা।”
অন্যদিকে খবর পেয়েই দোকানে ছুটে যান তারকনাথ। গিয়ে পরিস্থিতি দেখে তাঁর কপালে হাত। একটা টাকাও অবশিষ্ট নেই। একটি মেশিনও তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই দোকানো ব্যাঙ্কিং পরিষেবার পাশাপাশি বিমানের টিকিট কাটা, জেরক্স, বিভিন্ন প্রকল্পের ফর্ম ফিলআপের ব্যবস্থা আছে। বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, “অবাক লাগছে। এরকম ভরা বাজারে এই ধরনের ঘটনা, এর আগে কোনওদিনও এরকম কিছু ঘটেনি। আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত দোষীদের ধরতে হবে। সঙ্গে এলাকায় পেট্রলিং বাড়াতে হবে পুলিশকে।” ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় যে ভিডিয়োর পাশাপাশি যে অডিয়ো ধরা পড়েছে, তাতে ওই মুখে কাপড় বাঁধা ওই দুষ্কৃতীদের বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘তাড়াতাড়ি টাকা বের করো। না হলে মেরে দেব।’