আসানসোল: পশ্চিম বর্ধমানে তৃণমূলের হয়ে ভোটের প্রচারে গিয়ে নুসরতের মন্তব্য ঘিরে নয়া বিতর্ক। আসানসোলে প্রচারসভা থেকে তৃণমূলের তারকা সাংসদ বললেন, ‘অন্য কাউকে ভোট দিয়ে জেতালে… লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে।’ শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই নয়, রাজ্য সরকারের সব প্রকল্পই নাকি বন্ধ হয়ে যাবে, বললেন নুসরত। বসিরহাটের সাংসদের এহেন মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে। পঞ্চায়েত ভোট গ্রামের ভোট। গ্রামীণ সমীকরণ। রাস্তা-ঘাট, আলো, জল- এসব স্থানীয় স্তরের দাবিদাওয়া নিয়ে ভোট। সেখানে ভোটের ফলাফলের সঙ্গে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আটকে যাওয়ার কী যোগ? তা নিয়েই বিতর্ক।
যদিও এরপরই সাংসদ বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি পঞ্চায়েতের নয়, রাজ্য রাজনীতির প্রসঙ্গ বলতে চেয়েছেন। বললেন, ‘আমরা এমন সরকার চাই না, যাঁরা মানুষের ব্যথা-যন্ত্রণা বোঝে না।’ উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুযোগ সুবিধার কথা বলতে শোনা গিয়েছে। রাজ্য সরকার মানুষের জন্য কী কী উন্নয়ন করেছে, সেই কথা তুলে ধরার সময়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা বলেছেন মমতা। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার শোনা গিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ। যেমন তৃণমূল নবজোয়ার যাত্রার শেষ পর্বেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মমতা বলেছিলেন, ‘তৃণমূলকে জেতান, না-হলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কে দেবে?’
এদিকে বিগত দিনগুলিতে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিও বার বার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সরব হয়েছে। রাজ্য সরকার বর্তমানে মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের দেওয়া হয় ১০০০ টাকা প্রতি মাসে। মহিলাদের সশক্তিকরণের লক্ষ্য়েই এই প্রকল্প চালু হয়েছে। রাজ্য সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প এটি। এদিকে বঙ্গ বিজেপিরও বলতে শুরু করে দিয়েছে, ৫০০ টাকা বা ১০০০ টাকা নয়, তারা ক্ষমতায় এলে মহিলাদের মাসে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। ফলে ভোটের মুখে মহিলা ভোটব্যাঙ্ককে কাছে টানতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার একটি বড় ইস্যু হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতিতে।