পশ্চিম বর্ধমান: বৃদ্ধকে মারধরের ঘটনায় নাম জড়াল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের। এই ঘটনা ঘিরে আসানসোলের বারাবনিতে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ৮৫ বছরের বৃদ্ধ দ্বারকা বার্নওয়ালকে বারাবনির গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান নরেশ বাউরি-সহ আরও চারজন মারধর করেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই বৃদ্ধ নিজের জমিতে বাড়ি তৈরি করছিলেন। পঞ্চায়েত প্রধান তা আটকে দেন। এই নিয়েই তর্কাতর্কি হাতাহাতিতে পৌঁছয়। বৃদ্ধকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই প্রধান। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা এলাকার বিধায়কের বক্তব্য, অনুমতি ছাড়া বাড়ি তৈরি করছিলেন। প্রতিবেশীরা আপত্তি তোলেন এ নিয়ে। অভিযোগ পেয়ে পঞ্চায়েত প্রধান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
অশীতিপর বৃদ্ধ দ্বারকা বার্নওয়াল। একেবারে থুড়থুড়ে বুড়ো। ঘোলাটে চোখ, মুখে কোনও পাটিতেই দাঁতের দেখা মেলে না। মুখের চামড়াও ঝুলে গিয়েছে। সেই বৃদ্ধকেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে। দ্বারকাবাবু বলেন, “আমি ঘর বানাচ্ছিলাম স্টেশন পাড়ায়। আমার জায়গাতেই ঘর তুলছিলাম। হঠাৎ প্রধান এল, নরেশ বাউরি। ওর সঙ্গে আরও দু’ চারটে লোক ছিল। ধাক্কাধাক্কি করতে শুরু করে। একজন আবার হেলমেট দিয়ে মারে আমাকে।”
দ্বারকা বার্নওয়ালের ছেলে ভিকু বার্নওয়াল বলেন, “নরেশ বাউরি এসে বলছেন এখন ঘর তৈরি করতে পারব না। অনুমতি নিতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নেওয়ার পরও উনি তা করতে দিচ্ছেন না। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ঘর তৈরির জন্য পঞ্চায়েতের অনুমতির কোনও দরকার নেই। তারপরও এই অবস্থা।”
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তৃণমূলে এসব চলে না। ভদ্রলোকের পাশের বাড়ির অভিযোগ ছিল হয়ত বিনা অনুমতিতে বাড়ি হচ্ছে। তাই প্রধান দেখতে যান। আর কিছুই না।” তবে যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই নরেশ কিন্তু এখনও মুখ খোলেননি।