পশ্চিম বর্ধমান: অনুব্রত মণ্ডলের ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষ হচ্ছে শনিবার। ইতিমধ্যেই তাঁকে নিয়ে সিবিআই আসানসোলে পৌঁছে গিয়েছে। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে মিনিট দশেক দূরে ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার ট্রানজিট হাউজ। আদালতে উপস্থিতির আগে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। ১৫ মিনিট সেখানে থাকার পর ফের রওনা দেওয়া হয় আদালতের পথে। সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন আদালতে তুলে আবারও নিজেদের হেফাজতে চাওয়া হতে পারে বীরভূমের ‘বাহুবলী’ এই নেতাকে। অসহযোগিতা, প্রভাবশালী তত্ত্বই এক্ষেত্রে হাতিয়ার করতে পারে সিবিআই। আদালত সূত্রে খবর, আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ইতিমধ্যেই ‘কেষ্ট’র জামিনের আবেদন জমা পড়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে তাঁর আইনজীবীরা এই জামিনের আবেদন জমা দেন। মূলত মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে এই আবেদন জানানো হয় আদালতে।
সূত্রের খবর, এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে হাজির করার আগেই তাঁর আইনজীবীরা আদালতের জিআর সেকশন অর্থাৎ জেনারেল রেজিস্টারে (GR) জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, আইনজীবীরা এও জানিয়েছেন অনুব্রত অসুস্থ। তাই যে কোনও কঠিন শর্তেও তাঁকে জামিন দেওয়া হলে, তাতে সমস্যা নেই। সমস্ত শর্ত মানতে রাজি অনুব্রত মণ্ডল।
তবে সিবিআইও সমস্তরকম প্রস্তুতি করে রেখেছে। যে কোনওভাবেই তারাও অনুব্রতকে হাতছাড়া করতে নারাজ। অনুব্রতর তরফে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন চাওয়া হলেও পাল্টা যুক্তিতে বিরোধিতা করা হবে বলেই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে সিবিআইয়ের আইনজীবী পেশ করতে পারেন আলিপুর সেনা হাসপাতালের রিপোর্ট। একইসঙ্গে বলা হতে পারে, অনুব্রতর প্রভাবের কথা। জামিনে অসহযোগিতার অভিযোগও এক্ষেত্রে ঢাল হতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেলে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সিবিআইয়ের তরফে তুলে ধরা হতে পারে এমনও তত্ত্বও।
সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন একাধিকবার সেনা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুব্রতর কিছু ক্রনিক সমস্যা থাকলেও তাতে জেরায় কোনও সমস্যা নেই বলেই চিকিৎসকদের মত। শনিবার আসানসোলে নিয়ে যাওয়ার আগেও তাঁকে সাড়ে ৭টা নাগাদ আলিপুরের কম্য়ান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। এই রিপোর্টও এদিন আদালতে তুলে ধরবেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। আদালতে জানানো হবে, ১৭ কোটির ফিক্স ডিপোজিট উদ্ধারের বিষয়টিও।