পশ্চিম বর্ধমান: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গত শুনানি হয়েছে ভার্চুয়ালি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভার্চুয়ালি এই শুনানি হয়। অর্থাৎ সংশোধনাগারের বসেই আইনজীবীদের সওয়াল জবাবের অংশী ছিলেন পার্থ। এবার সেই পথেই শুনানি হতে পারে তৃণমূলের আরও এক ‘হেভিওয়েট’ নেতার। গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের মামলার পরবর্তী শুনানি ভিডিয়ো কনফারেন্সে হবে বলেই জানা গিয়েছে।
আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার সূত্রে খবর, এই মর্মে আসানসোল জেল সুপার সিবিআই আদালতকে চিঠিও দিয়েছেন। সূত্রের দাবি, সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে পেশ করার সময় অতিরিক্ত ভিড় হচ্ছে আদালতচত্বরে। যার জেরে অনুব্রতর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার একটা সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে। সেই কারণেই অনুব্রতকে যাতে সশরীরে হাজির না করিয়ে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা যায়, তারই আবেদন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন আসানসোলের জেল সুপার কৃপাময় নন্দী। গত ১১ অগস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়। বীরভূমের নীচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত হয়ে হাজির করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ পেয়ে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে আনা হয় বীরভূমের ‘কেষ্ট’কে। সেখান থেকে ফের আদালত হয়ে আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এই সংশোধনাগারই অনুব্রতর ঠিকানা। ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকরা জেলের ভিতর গিয়ে তাঁকে জেরা করে এসেছে। ১৪ দিন পর ফের আদালতে তোলা হবে তাকে।
অনুব্রতকে এখনও অবধি যে ক’দিনই আদালতে তোলা হয়েছে, বহু মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে আদালতের বাইরে। অনুব্রতর সমর্থকরা যেমন সেখানে ছিলেন, একইভাবে অনুব্রত-বিরোধীদের সুরও শোনা গিয়েছে সেখানে। এমনকী অনুব্রতকে আদালতে তোলা হবে শুনে, হাজির হয়ে কেউ কেউ বলেছেন, ‘গরু চোরকে দেখতে এসেছি।’ হাতে কালো জুতো উঁচিয়ে কেউ কেউ বলেছেন, ‘পাপের ঘড়া পূর্ণ হতে চলেছে।’ জেল কর্তৃপক্ষের মনে হয়েছে আদালতে নিয়ে যাওয়ায় অনুব্রতর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। সে কারণেই ভার্চুয়ালি শুনানি চাইছে তারা।