পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের টিকা জালিয়াতির (Fake Vaccination) অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল খড়গপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতর বা প্রশাসনিক কোনও অনুমতি ছাড়াই খড়গপুরের মালঞ্চ এলাকায় একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ১১৫০ টাকা মাথাপিছু নেওয়া হচ্ছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে খবর আসছিল টিকা জালিয়াতির। কিছু অভিযোগও জমা পড়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই সেন্টারের মালিকসহ তিন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রশাাসনিক কোনও অনুমতি ছাড়াই কীভাবে ওই কেন্দ্রে টিকাকরণ চলছিল তা নিয়েই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। শুধু তাই নয়, ওই সেন্টারে সত্যিই করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছিল নাকি জাল কোনও টিকা দেওয়া হচ্ছিল তার জন্য বিশেষ পরীক্ষা করা হবে বলেই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। বিনামূল্যে যেখানে রাজ্য সরকার টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, সেখানে কী করে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ওই কেন্দ্রে টিকাকরণ চলছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই কেন্দ্রের সঙ্গে অন্য কোনও সংস্থা বা ব্যক্তিবর্গের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
সম্প্রতি কসবায় ভুকো টিকাকাণ্ডে (Fake Vaccination) ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ধৃতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কসবার ওই ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। কোভিড টিকা পাওয়ার বদলে অ্যামিক্যাসিন পান তিনি। সম্প্রতি, গুরুতর অসুস্থও হয়ে পড়েন সাংসদ। টিকারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলে অনুমান করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় রীতিমতো সুর চড়িয়েছে বিরোধী শিবির। দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে রাজ্য় সরকারের তরফে সিট গঠনের কথা বলেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাল্টা বিরোধীদের দাবি, দেবাঞ্জনকাণ্ডে আদালতে অধীনে সিবিআই তদন্ত করা হোক। শনিবার, ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন ও তাঁর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির পাশাপাশি খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘সাংবাদিকদের মদের বোতল আর টাকা দিয়ে কিনতে গিয়েছিল বিজেপি’, বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল নেতার!