চন্দ্রকোনা: নববর্ষের সকালে পিকনিকে গিয়েছিলেন ডাক্তারবাবু। পরিবারের লোকজনদের নিয়ে গিয়েছিলেন পিকনিক করতে। সন্ধেয় সেখান থেকে ফেরার পথে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এক পথচারীকে ধাক্কা মারে চিকিৎসকের গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দেবাশিস চোধুরী নামে ওই ব্যক্তি। রক্তে ভেসে যায় রাস্তা। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসীরা ওই পথচারীকে উদ্ধার করে নিয়ে যান ঘাটাল হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা সময় বেরিয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ঘাটাল থানার পুলিশও। ওই ঘাতক গাড়িটিকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে চিকিৎসককেও।
বছরের প্রথম দিনেই এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে, তা ভাবতেও পারেননি দেবাশিস চোধুরীর বাড়ির লোকেরা। ঘড়িতে তখন বিকেল প্রায় পাঁচটা। ঘাটাল চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কের ধারে মেয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন রথীপুর এলাকার বাসিন্দা বছর চুয়াল্লিশের দেবাশিসবাবু। সেই সময়ই পিকনিক সেরে পরিবার নিয়ে চন্দ্রকোনা থেকে ঘাটালের দিকে ফিরছিলেন চিকিৎসক। রাজ্য সড়কের উপর ঘাটালের বিশালাক্ষী মন্দির এলাকায় আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চিকিৎসকের ওই প্রাইভেট গাড়ি ধাক্কা মারে একটি মোটর সাইকেলে। তারপর ধাক্কা মারে দেবাশিসবাবুকে। মোটর সাইকেল চালক প্রাণে বাঁচলেও ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই পথচারী। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই মৃত্য়ু হয় তাঁর।
এদিকে সোমবারের এই ঘটনার পর দেবাশিসবাবুর আত্মীয়রা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই ঘাতক গাড়ির বিরুদ্ধে। মৃতের জামাইবাবুর অভিযোগ, ওই গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ধাক্কা মারে। যদিও গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে চিকিৎসক ও তাঁর ঘাতক গাড়িটিকেও।