ঘাটাল: প্রায় দুই দশক হতে চলল। ২০০৪ সালের ঘটনা। অবশেষে ১৯ বছর পর অবশেষে প্রতিবেশীর শরীরের অ্যাসিড ছুঁড়ে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হল দাসপুরের বড় শিমুলিয়ার বাসিন্দা নন্দ সামন্ত। মঙ্গলবার ঘাটাল মহকুমা আদালত ওই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে। দাসপুর থানা এলাকার বড় শিমুলিয়া গ্রামে বাড়ি নন্দ সামন্তর। ২০০৪ সালের ২২ জুলাই নন্দ সামন্ত তার প্রতিবেশী রতন সামন্তর গায়ে অ্যাসিড দিয়ে হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। অ্যাসিডে পুড়ে গিয়েছিল গোটা শরীর। ৫০ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রতন। টানা যমে-মানুষে লড়াইয়ের পর শেষে ওই বছরেরই ৯ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল রতন সামন্তর।
২০০৪ সালের জুলাইয়ে ওই অ্যাসিড হামলার পর তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দাসপুরের হাসপাতালে। শরীরের বেশিরভাগ অংশই অ্যাসিড হামলায় পুড়ে গিয়েছিল। শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হতে থাকায় দ্রুত তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছিল। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল থেকে তাঁকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতায়। কলকাতার এক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চলে যমে-মানুষে টানাটানি। শেষে হামলার ৫০ দিনের মাথায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয়েছিল ওই রতন সামন্তর।
এদিকে রতন সামন্তের স্ত্রী বিভা সামন্ত দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মূল অভিযোগ ছিল প্রতিবেশী নন্দ সামন্তের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নন্দ সামন্তকে গ্রেফতার করে দাসপুর থানার পুলিশ। অ্যাসিড হামলায় রতন সামন্তর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে নন্দ কুমারের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। মামলা ওঠে ঘাটাল মহকুমা আদালতে। দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হল নন্দ সামন্ত। ঘটনার ১৯ বছর পেরিয়ে অভিযুক্ত নন্দ সামন্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল ঘাটাল মহকুমা আদালত।