মেদিনীপুর: ছাত্রীকে চড় মারার অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে সামনে রেখে উত্তেজনা ছড়ায় মেদিনীপুরের দাসপুর-১ ব্লকের ধরমপুরে। রঘুনাথপুর সরোজমোহন স্মৃতি বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিযোগ, কলম কিনতে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। স্যর তা দেখতে পেলে এই ঘটনা। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক স্বীকারও করেন। তবে তাঁর দাবি, এতটাও জোরে তিনি মারেননি।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
ওই ছাত্রীর কথায়, স্কুল চত্বরেই দোকান। সেখান থেকে কলম কিনতে গিয়েছিল সে। তা নিয়ে ক্লাসে ঢুকতেই নজরে আসে প্রধান শিক্ষকের। ওই ছাত্রী বলে, “বাঁ হাতে এমন মেরেছেন গালে দাগ ফেলে দিয়েছেন পাঁচ আঙুলের। এতটাই সজোরে মেরেছেন, আমার নাকফুলটা পর্যন্ত সরে গিয়েছে। ১০ মিনিটের ব্রেক দেওয়া হয়েছিল। সেই ফাঁকে কলম কিনতে গিয়েছিলাম। ফিরতেই স্যর ঠাস করে গালে চড় মারেন।”
এরপরই স্কুলে ডাক্তার ডেকে আনা হয়। তিনি স্ক্যান করাতে বলেন বলেও অভিযোগ। ওই ছাত্রীর মায়ের কথায়, “বাড়িতে ছিলাম। মেয়ে বাড়িতে গিয়ে বলছে তুমি স্কুলে চলো। স্যর আমাকে কীভাবে মেরেছে দেখো। দেখি গাল পুরো লাল। আমি স্কুলে যাই, স্যরের সঙ্গে কথা বলি। জানতে চাইলাম, এভাবে কেন মারলেন? কিছু তো হয়ে যেতে পারত! উনি বলছেন কথা শোনেনি বলে মেরেছেন। আমি ওনাকে বললাম আমাদের ডেকে পাঠাতে পারতেন। এভাবে কেউ এত বড় মেয়ের গায়ে হাত তোলে? উনি তখন বলছেন, অভিভাবক এমন হলে, ছাত্রী কেমন সে তো বোঝাই যাচ্ছে। একজন হেডস্যর এভাবে কথা বলেন?”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, “ছাত্রীকে শিষ্টাচার শেখাতে গেলে শাসন তো করতেই হবে। জাস্ট গালের নিচে মেরেছি। আর কিছুই না। আমিই ডাক্তার ডাকি।”