পশ্চিম মেদিনীপুর : সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগ তুলে মারধরের অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। এক যুবক ও এক যুবতীকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠল এলাকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই তৎপর হয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দু জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিবাহিত মহিলার সঙ্গে এক যুবকের পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগেই শুক্রবার রাতভর বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রেখে মারধর করা হয়েছে ওই যুবক ও যুবতীকে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলদহ গ্রামের ঘটনা। এলাকারই অন্যান্য বাসিন্দারা মোবাইল -বন্দি করেন সেই ছবি। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। সেখানে দেখা যায়, ওই যুবতীকে ঝাঁটা দিয়ে মারধর করছেন এক বৃদ্ধা। কেউ আবার লাঠি দিয়ে যুবকের পায়ে মারছেন।
গ্রামের লোকের দাবি, শুক্রবার রাতে ওই দুজনকে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তাঁরা। তারপর তাঁদের গ্রামেরই এক ইলেক্ট্রিক খুঁটি দিয়ে বেঁধে মারধর চালানো হয়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এলাকার মানুষ জানাচ্ছেন মহিলার সঙ্গে ওই যুবকের দীর্ঘদিন ধরে আলাপ ছিল। মাঝেমধ্যেই যুবতীর বাড়িতে আসতেন ওই যুবক। কিন্তু, শুক্রবার রাতে তাঁদের একসঙ্গে দেখে ফেলন এলাকাবাসী। এরপরই সমস্যার সূত্রপাত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামের মোড়লরাই এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এই প্রসঙ্গে সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার বলেন, বিয়ে নামক বন্ধনের মধ্যে মেয়েদের জড়িয়ে ফেলা হয় আমাদের সমাজব্যবস্থায়। তাঁর মধ্যে, আগে যে ভাবে মহিলারা মার খেতেন, সেখান থেকে ক্রমে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি, সমাজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রভুর আসনে বসে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের ওপর এই ধরনের অত্যাচারে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদেরও মদত থাকে।