পশ্চিম মেদিনীপুর: এসএসসি, টেট, প্রাইমারি নিয়োগ নিয়ে উত্তাল রাজ্য। ঠিক তখনই একটি মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হল মেদিনীপুরে।ভুয়ো সার্টিফিকেট দাবি করে জেলা পুলিশ সুপার, জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের সিএমওএইচ-এর
সূত্রের খবর, গত ২৩ জুন ২০২২ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে এনভিএফ বা ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশানাল ভলেন্টিয়ার ফোর্স (NVF) কর্মী দিলীপ নায়েক-এর নামে একটি মেডিক্যাল আনফিট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। হাত ঘুরে এই সার্টিফিকেটের একটি কপি এসে পৌঁছায় জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের হাতে। সার্টিফিকেট হাতে পেয়েই রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর সই জাল করে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এর পরেই রীতিমত চিঠি দিয়ে জেলাশাসক সহ জেলা প্রশাসনকে জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূবন চন্দ্র হাঁসদা। শনিবার রাতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘একইভাবে আরও দু’টি ভুয়ো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট তাঁদের নজরে এসেছে। সোমবার সেগুলি নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, এনভিএফ এর এক কর্মীর নামে একটি মেডিক্যাল আনফিট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। পরে যখন সেটি তাঁর কাছে আসে তখন সেখানে থাকা সাক্ষর তিনি চিনতে পারেননি। কারণ ওই সাক্ষর তাঁর নয়। কেউ সই জাল করে এমন বেআইনি কাজ করেছে। বলেন, ‘এরম ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। ঘটনাক্রমে এসে গিয়েছে। কপিটা দেখে বুঝতে পেরেছি আমার সই জাল করেছে। যথাস্থানে আমরা জানিয়েছি। এখন পুরো ব্যাপারটাই তদন্ত সাপেক্ষ।’
এনভিএফ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মরত এনভিএফ কর্মী নিজেকে মেডিক্যাল আনফিট দেখাতে পারলে, তাঁর উত্তরাধিকার ওই চাকরির আবেদন করতে পারবেন। এই ভুয়া মেডিক্যাল আনফিট সার্টিফিকেট সেই কারণেই তৈরি করা হয়েছে কি না ইতিমধ্যেই তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও অবধি মেলেনি।