চন্দ্রকোনা: ‘২০ হাজার দিলে পিছন ফিরে তাকাতে হবে না’ মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেত্রীর কাটমানি চাওয়ার একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি পোস্ট করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ভিডিয়ো নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। আবাস যোজনার বাড়ির বিনিময়ে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে এই ঘটনা শুধু মুর্শিদাবাদ নয়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমন অভিযোগ উঠছে। কখনও বাড়ির তালিকা প্রস্তুত নিয়ে দুর্নীতি তো কখনও সরকারি আধিকারিকের নাম করে উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ উঠে এসেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এবার এই সব বিতর্ক এড়াতে নয়া পন্থা চালু করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুরের জেলা প্রশাসন। রাস্তায় নেমে প্রচার করলেন বিডিও থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধানরা।
প্রথম দফায় ৯২৮ জন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা। ইতিমধ্যে অধিকাংশ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকে গিয়েছে। এখনও সার্ভের কাজ চলছে ধাপে ধাপে। আর প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই উপভোক্তাদের নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন জায়গায় বিশেষ আলোচনা সভা করল ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েত। উপস্থিত ছিলেন ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক,গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দোয়াল লোহার,উপপ্রধান মনাজুর মোল্লা সহ ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যান্য আধিকারিকরা।
‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প নিয়ে যাতে কোনও দুর্নীতির বা অভিযোগ না ওঠে, সঠিক সময়ে সরকারের দেওয়া গাইডলাইন মেনে উপভোক্তারা যাতে বাড়ির কাজ শুরু করে সেসব নিয়েই এই আলোচনা সভা হয়। সেখানেই দেখা যায়, বিডিও উৎপল পাইক ও গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনাজুর মোল্লা রীতিমতো মাইক হাতে বলছেন, “কোনও সরকারি অফিসার বা কর্মী, তা সে গ্রাম পঞ্চায়েত হোক বা বিডিও অফিসের। কেউ যদি টাকার দাবি করে আপনারা দেবেন না। কেউ এসে যদি বলে আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছি বা টাকা পাইয়ে দিয়েছি তার জন্য আমাকে এতো টাকা দিন,এরকম কেউ দাবি করলে সরাসরি বিডিওকে জানাবেন।” এ প্রসঙ্গে বিডিও বলেন, “টাকা ইতিমধ্যেই ঢুকতে শুরু করেছে। আমরা উপভোক্তাদের বুঝিয়েছি এই টাকা দিয়ে শুধু বাড়িই করা যাবে। অন্য কোনও কাজে এই বাড়ির টাকা ব্যবহার করা যাবে না। এরপর সার্ভে করব যে সত্যিই তাঁরা বাড়ি বালাতে শুরু করেছেন কি না। সঙ্গে এও জানালাম কেউ যদি তাঁদের থেকে টাকা চায় আমায় জানালে আমি ব্যবস্থা নেব তাঁদের বিরুদ্ধে।”