চন্দ্রকোনা: চন্দ্রকোনা ২ ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের একতরফা জয় হয়েছে। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীশূন্য হয়েছে এই পঞ্চায়েত সমিতি। ১৮টি আসনের মধ্যে সবক’টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু এরপরও গঠন করা যায়নি পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি। পঞ্চায়েত ভোটের পর গত অগস্ট মাসে একবার পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হয়েছে। কিন্তু তারপর প্রায় তিন মাস ধরে স্থায়ী সমিতি গঠন না হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক শিবিরকে খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। স্থায়ী সমিতি গঠন না হওয়ার ফলে এলাকার উন্নয়নের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। চন্দ্রকোনা ২ ব্লক অফিসে বিজেপির তরফে এই মর্মে ডেপুটেশনও জমা দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কী কারণে এই সমস্যা? জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি করার জন্য দলীয়ভাবে একজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী সদস্যরা চেয়েছিলেন ভোটাভুটি করতে। সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের ভোটাভুটিতে অন্যতম জয়ী সদস্য অলোক ঘোষকে সভাপতি হিসেবে বাছা হয়। সূত্রের খবর, দলীয় নির্দেশ অমান্য করে সভাপতি বাছার খবর রাজ্য নেতৃত্বের কাছে যেতেই থমকে যায় স্থায়ী সমিতি গঠন। এমন অবস্থায় বিরোধীরা নাগাড়ে সমালোচনায় বিঁধে যাচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবিরকে। খোঁচা দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়েও। বিরোধীদের বক্তব্য, স্থায়ী সমিতি গঠন না হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষকে এর ফল ভুগতে হচ্ছে।
যদিও শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের যুক্তি পুরোটাই বিরোধীদের ‘অপপ্রচার’। তৃণমূলের চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের সভাপতি প্রসূন ঘোষের বক্তব্য, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ আসলেই পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন হবে। কিন্তু এর জন্য উন্নয়নের পথে কোনও বিঘ্ন হচ্ছে না।
চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বিডিও উৎপল পাইকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে। তাঁরও যুক্তি, জেলা প্রশাসন কিংবা মহকুমা প্রশাসন থেকে নির্দেশ এলেই পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন হবে।