মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই প্রকট হচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল।এবার চন্দ্রকোনা-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কমিটি গঠনকে ঘিরে প্রকাশ্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।’ ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে এভাবেই প্রকাশ্য মুখ খুললেন চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা জেলা কমিটির সম্পাদক থেকে তৃণমূলের উপপ্রধান সহ একাধিক নেতারা সরব। তাঁদের অভিযোগ, দলের একাংশ তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের মর্জি মতো কমিটি গঠন করে দলের কিছু নেতাদের শায়েস্তা করার চেষ্টা করছেন। খোদ ব্লক কমিটিতে জায়গা পাওয়া এক নেতাও নতুন কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলে ব্লক সভাপতি ও বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভোটের মুখে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল।
চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক হীরালাল ঘোষ, ব্লকের ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইকবাল সরকার, ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জগজিৎ সরকার-সহ একাধিক নেতা কমিটি গঠন নিয়ে দলের ব্লক সভাপতি থেকে বিধায়কের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, দলের বেশ কিছু পুরানো নেতাকে কোনঠাসা করার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ব্লক সভাপতি ও বিধায়ক। তাঁদের অভিযোগ,কাউকে কিছু না জানিয়ে একতরফা ভাবে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা থেকে রাজ্য নেতৃত্বকে একাধিক বার নালিশ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের। অনেকে দল ছাড়তে পা বাড়িতে রেখেছেন বলেও ইঙ্গিত দেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের জেলা কমিটির সম্পাদক হীরালাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “আমি কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছিলাম। আসলে অনেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। সবাইকে ডেকে মতামত নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাসস্ট্যান্ডে বসেই তালিকা তৈরি হয়ে যাচ্ছে।” আগে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের মধ্যেই ভাঙন দেখা দেবে?এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চন্দ্রকোনা জুড়ে।
এর আগেও একাধিকবার চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এসেছে, তৎকালীন সময়ে জেলা নেতৃত্ব কেবল উভয়পক্ষকে সতর্ক করেই দায় সেরেছে। গত সোমবার নতুন ব্লক কমিটি ঘোষণা করেন চন্দ্রকোনা-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রসূন ঘোষ,আর এই কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিরোধিতা করেন একাংশ। যদিও এবিষয়ে চন্দ্রকোনা-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রসূন ঘোষ জানান,”ব্লক কমিটি গঠনের আগে ব্লক থেকে অঞ্চল সমস্ত স্তরের নেতৃত্বদের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা সভাপতির অনুমোদন নিয়েই তা ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটি ঘোষণার সময় বলা হয়েছে, যদি কেউ বাদ পড়ে যায় পরবর্তী সময়ে আলোচনার ভিত্তিতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হবে। এমনি বিতর্ক হওয়ার কথা নই।”