পশ্চিম মেদিনীপুর: দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির কাছের পুকুর থেকে উদ্ধার শিশুকন্যার দেহ। ঘটনায় রীতিমত শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
ঘটনাস্থান জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির অন্তর্গত সাউরি আগড়বাড়চক এলাকা। সেখানেই থাকতেন অসীম মান্না। গত ১৯ তারিখ দুপুর নাগাদ নিখোঁজ হয় অসীম বাবুর ছোট্ট মেয়ে আর্যা।
এরপর, পরিবারের সদস্যরা বহু খোঁজাখুঁজির পর তাকে খুঁজে না পেয়ে,জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। আজ মঙ্গলবার সকাল নাগাদ বাড়ির অদূরেই একটি পুকুরে বাচ্চাটিকে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের।
পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এই ঘটনা প্রাথমিকভাবে জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে। তবে জলে ডুবে মৃত্যু নাকি এর পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে বেলদা থানা ও জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ।
অন্যদিকে গতকাল কলকাতায় আরও এক শিশুর খবর আসে। মা-বাবা বকাবকি করায় পাটনা থেকে সোজা কলকাতায় চলে আসে সে। পাটনার ওই আট বছরের বালকের ইচ্ছে শীতের কলকাতা চিড়িয়াখানা দেখার। বাড়ির কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তার এই পরিকল্পনার কথা। বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রথমে পাটনা থেকে ট্রেনে উঠে সোজা হাওড়া স্টেশন, সেখান থেকে স্রেফ পায়ে হেঁটে আলিপুর চিড়িয়াখানা। পুরোটাই একা একা। কিন্তু এত করেও চিড়িয়াখানায় ঢুকতে পারেনি শিশুটি। নিরাপত্তারক্ষীরা আটকায় তাকে।
আলিপুর চিড়িয়াখানার এক্সিট গেট দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন পর্যটকেরা। হঠাৎ নিরাপত্তাকর্মীদের নজরে আসে সেখান দিয়ে নীল সোয়েটার আর জিনস পরিহিত এক খুদে ভিতরে ঢোকার মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে। সঙ্গেও বড় কেউও নেই। হারিয়ে গেছে কি? এগিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা।
নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি জানায় সে পাটনা থেকে ট্রেনে করে হাওড়ায় এসেছে। সেখান থেকে চিড়িয়াখানা। শুনে তাজ্জব বনে যান তাঁরা। শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় চিড়িয়াখানার অধিকর্তার কাছে।
ছেলেটি এও জানিয়েছে সে আর বাড়ি ফিরতে চায় না। কারণ, বাড়িতে বাবা-মা খুব বকাবকি করেন। তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার মনস্থির করেছে সে। তার বয়ান শুনে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন চিড়িয়াখানার অধিকর্তা।
আরও পড়ুন: KMC Election Result 2021: পুর-যুদ্ধে আসন কমলেও ভোট শতাংশে ‘খুশি’ বামেরা