পশ্চিম মেদিনীপুর: এখনও করোনা নির্মুল হয়নি। তার মধ্যে দোসর হয়েছে ডেঙ্গি। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্যাটা অন্য। সেখানে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে স্ক্রাব টাইফাস। একের পর এক শিশু স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জ্বর নিয়ে শিশু ভর্তি সংখ্যা বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন করে শিশু ভর্তি হচ্ছে । তবে আশার আলো যে, নিত্যদিনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে অনেকে। তবে শিশু ভর্তির সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে বেডের মিলছে না রোগীদের।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভাইরাল ফিভার, স্ক্রাব টাইফাস রোগে আক্রান্ত হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় ৪০ জন শিশু। তারা সাধারণ বেডেই (জেনারেল বেড) ভর্তি রয়েছে। সাধারণ বেডের পাশাপাশি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের যে সমস্ত শিশু বিভাগের যে সমস্ত ভাগ রয়েছে, প্রতিটি বিভাগেই সমস্ত বেডেই শিশুরা ভর্তি রয়েছে বলেই জানিয়েছেন শিশু বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক।
এর পাশাপাশি অন্যান্য উপসর্গের রোগীও রয়েছে। যদিও চিকিৎসকদের দাবি, বৃষ্টি ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই জ্বরের প্রাদুর্ভাব এতটা বেড়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগের এইচওডি তারাপদ ঘোষ বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই ১০ থেকে ১৫ জন করে শিশু ভর্তি হচ্ছে, যাদের বেশিরভাগই ভাইরাল ফিভার। তাদের মধ্যে কয়েকটি শিশুর শরীরে পাওয়া গিয়েছে স্ক্রাব টাইফাস ভাইরাস। একটু বাড়াবাড়ি হলেই হাসপাতালে শিশুদের নিয়ে আসছে তাদের অভিভাবকেরা। আর এই স্ক্রাব টাইফাস এখন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের।’ একই সঙ্গে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় শিশুদের একটু যত্নে রাখার। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার।’
স্ক্রাব টাইফাস কী?
বর্ষাকালীন রোগ এটি। মূলত জলাজমি,ঝোপঝাড় থেকে পোকা-মাকড়ের কামড়ে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। তবে রক্ত পরীক্ষার আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বোঝা যায় না স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না।
এই রোগের লক্ষণ?
ডেঙ্গি ও স্ক্রাব টাইফাসের লক্ষণ কিছুটা এক। শীত-শীত ভাব, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর ও মাথা ব্যথা এর মূল লক্ষণ।
প্রতিকার
তিন থেকে পাঁচদিনের বেশি জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।