চন্দ্রকোণা: সংবাদমাধ্যমে প্রথম খবরটা দেখার পরই বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠেছিল চন্দ্রকোণার বিজয় মণ্ডলের পরিবারের সদস্যদের। এই ট্রেনেই তো ছিলেন বিজয়। চিকিৎসক দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনার পর থেকে তাঁকে ফোনে সমানে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন বাড়ির লোক। কিন্তু ফোন ‘সুইচ অফ’। তাঁর সঙ্গে থাকা এক মহিলারও খোঁজ পাচ্ছেন না কেউ। ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন চন্দ্রকোণার বছর পঞ্চান্নর বিজয় মণ্ডল। তাঁর বাড়ি চন্দ্রকোণা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বোনা এলাকায়। দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রেলের তরফে দেওয়া টোল ফ্রি নম্বরেও ফোন করেছেন একাধিকবার। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, সংশ্লিষ্ট নম্বরে ফোন করেও কোনও তথ্য তাঁরা পাননি।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, কটকে চিকিৎসক দেখাতে গিয়েছিলেন। যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা আত্মীয়ও। আশঙ্কার দোলাচলে পরিবার।
তাঁদের পরিবারের এক সদস্য গাড়ি নিয়ে খড়্গপুর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছেন। মেয়ে বলেন, “আমার স্বামীকে ফোন করে ওঁ বলেছেন, বাবার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু তিনি আবার আমাদের কিছুই বিশেষ জানাননি। আমার বাবাকে ফোন করে যাচ্ছি, ফোন বন্ধ। বাবার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কাল দুপুরে বাবার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছে। সন্ধ্যায় ভাইপোর সঙ্গে বাবার কথা হয়েছে। সাতটার পর থেকে আর কোনও যোগাযোগ করতে পারছি না।”
শনিবার ভোর পর্যন্ত রেলসূত্রে মৃতের সংখ্যা ৮৮ বলে জানানো হয়েছে। আহত ৬০০ জনেরও বেশি। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, শনিবার ভোর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩। আহত ৯০০ জনেরও বেশি।