Paschim Medinipur : ‘জমি সমতলীকরণ না করেই ঢুকেছে টাকা’, অভিযুক্ত বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 24, 2022 | 3:27 PM

Paschim Medinipur : অর্ধদক্ষ ও অদক্ষ মিলিয়ে ২৪৩ শ্রম দিবস লেগেছে কাজটি শেষ করতে। এই কাজের জন্য খরচ হয়েছে ৪৯ হাজার ৪৯১ টাকা। যদিও বলাই সিংয়ের অভিযোগ, বোর্ড বসানো হলেও কাজ হয়নি।

Paschim Medinipur : জমি সমতলীকরণ না করেই ঢুকেছে টাকা, অভিযুক্ত বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত
বোর্ড বসলেও জমি সমতলীকরণের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ

Follow Us

কেশিয়াড়ি (পশ্চিম মেদিনীপুর) : একশো দিনের প্রকল্পে (MGNREGA) জমি সমতলীকরণের আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর আবেদন মঞ্জুর হয়ে পঞ্চায়েতের তরফে ‘কাজ’ হয়েছে। বসেছে কাজ সম্পূর্ণ করার বোর্ড। কিন্তু, জমি সমতলীকরণের কাজই নাকি হয়নি। এমনই অভিযোগ করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের লালুয়া পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বেলাড় এলাকার বাসিন্দা বলাই সিং। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসতে না পেরে তাদের বদনাম করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।

দক্ষিণ বেলাড় এলাকার বাসিন্দা বলাই সিংহের অভিযোগ, একশো দিনের প্রকল্পে জমি সমতলীকরণের কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাতে যুক্ত বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত ও নেতৃত্বরা। বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

তাঁর বক্তব্য, গত ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে একশো দিনের প্রকল্পে তাঁর প্রায় এক বিঘা জমি সমতলীকরণের কাজের প্রকল্প ধরেছিল পঞ্চায়েত। তবে তিনটি অর্থবর্ষ অতিক্রম হতে চললে কাজ হয়নি। তবে তাঁর জমির পাশে কাজ শেষ করার বোর্ড বসেছে। যেখানে বলা হয়েছে, অর্ধদক্ষ ও অদক্ষ মিলিয়ে ২৪৩ শ্রম দিবস লেগেছে কাজটি শেষ করতে। এই কাজের জন্য খরচ হয়েছে ৪৯ হাজার ৪৯১ টাকা। যদিও বলাই সিংয়ের অভিযোগ, বোর্ড বসানো হলেও কাজ হয়নি।

ওই এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সুনীল মুর্মু বলেন, “আমি এই বুথের পঞ্চায়েত সদস্য। যেহেতু আমি পঞ্চায়েতে বিরোধী। তাই আমাকে কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি আমার বুথে উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে না।”

বলাই সিংয়ের অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিলেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সনাতন মান্ডি। তিনি বলেন, “২০১৮-১৯ সালে কাজ হয়। এখন বিজেপিকে দোষারোপ করছে। যেহেতু তৃণমূল ক্ষমতায় নেই। তাই তারা আমাদের বদনাম করার চেষ্টা করছে।”

এই অভিযোগ নিয়ে বিডিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর রিপোর্টে জেলা প্রশাসনকে পাঠানো হবে।

Next Article