School Election: সামান্য স্কুল-নির্বাচনে হেরেই ‘তাণ্ডব’ কাউন্সিলরের, ব্যালট ‘ছিনতাই’! আতঙ্কে হাউহাউ করে কাঁদলেন প্রধান শিক্ষক

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 24, 2022 | 10:46 AM

School Election: তবে ফলাফলে হতাশ হতে হয় কাউন্সিলক বান্ট-কে। ৭-৪ ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। তবে এই পরাজয় মেনে নিতে পারলেন না কাউন্সিলর এমনটাই অভিযোগ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

School Election: সামান্য স্কুল-নির্বাচনে হেরেই তাণ্ডব কাউন্সিলরের, ব্যালট ছিনতাই! আতঙ্কে হাউহাউ করে কাঁদলেন প্রধান শিক্ষক
এম কালি দাস, প্রধান শিক্ষক (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

খড়গপুর: বিদ্যালয়ের একটি সামান্য নির্বাচনেই যদি শাসকদলের এই তাণ্ডব হয়, তবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি হতে চলেছে? সেই আতঙ্কই এখন গ্রাস করেছে বিরোধীদল থেকে সাধারণ মানুষকে। কারণ মঙ্গলবার ছিল মঙ্গলবার ছিল খড়গপুর শহরের তেলেগু বিদ্যাপীঠের পিআইই(PIE) প্রতিনিধি নির্বাচন। প্রার্থী হয়েছিলেন ২ জন। একজন স্থানীয় কাউন্সিলর (১৫ নং ওয়ার্ডের) বান্টা মুরলী। অপরজন এলাকারই প্রাক্তন শিক্ষক এম কালি দাস। শিক্ষক এবং অভিভাবক প্রতিনিধি মিলিয়ে ভোটার ছিলেন ১১ জন। সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক (AI)-এর উপস্থিতিতে এবং প্রধান শিক্ষকের পরিচালনায় ভোট সম্পন্ন হয় নির্বিঘ্নে।

তবে ফলাফলে হতাশ হতে হয় কাউন্সিলক বান্টা-কে। ৭-৪ ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। তবে এই পরাজয় মেনে নিতে পারলেন না কাউন্সিলর এমনটাই অভিযোগ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ, হেরে যাওয়ার পর কাউন্সিলরের নির্দেশ বিদ্যালয়ে তাণ্ডব দেখান তাঁর কর্মী সমর্থকরা। বিজয়ী প্রার্থী এম কালি দাসের দাবি, কাউন্সিলরের লোকজন ব্যালট বক্সও ছিনতাই করেছে।

যদিও, এসবের পরোয়া না করে, বান্টা মুরলী এই ফলাফল ভেস্তে দিয়ে পুনরায় নির্বাচনের জন্য চাপ দেন। শেষমেশ তাঁর চাপের কাছে নতিস্বীকার করে পুনরায় নির্বাচনের প্রস্তাব মেনে নেওয়াও হয়! বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে নোটিশ।

যদিও, বিজয়ী প্রার্থী এম.কালি দাস অভিযোগ জানিয়েছেন খড়গপুর টাউন থানায়। অন্যদিকে, এই ঘটনার বিষয়ে বুধবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি ক্যামেরার সামনে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন! স্বীকার করেন, তিনি আতঙ্কে আছেন। অপরদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে বান্টা জানিয়েছেন, “আমাকে অভিভাবকরা আগেই পিআইই (PIE) প্রতিনিধি হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। স্কুল সেটা মানেনি। উল্টে নির্বাচনে কারচুপি করেছিলেন প্রাক্তন ওই শিক্ষক মশাই। তাই, পুনরায় নির্বাচনের নোটিস দেওয়া হয়েছে।” তিনি এও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমি যদি গন্ডগোল করতেই চাইতাম, তাহলে তো নির্বাচনে হারতামই না! যা হোক করে জিতে যেতাম।”

অন্যদিকে, ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “আপনারাই বুঝে নিন, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন কীরকম হবে। মুখ্যমন্ত্রী যতই ওই সমস্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বুলি আওড়ান না কেন, যাঁরা সামান্য স্কুল নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই করে, তাদের অভিসন্ধি বোঝাই যাচ্ছে।”

 

Next Article