ঝাড়গ্রাম: মাঝেমাঝেই এলাকায় হানা দেয় হাতির দল (Elephant Attack)। নষ্ট হয় জমির ফসল। প্রশাসনকে জানালেও হাতির পালকে আটকানোর কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর সে কারণেই নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) সাঁকরাইল ব্লকের কিসমত রামানন্দপুর এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসীরা। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনী রগড়ার মূল সড়কে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, শনিবার রাত ৯ নাগাদ নয়াগ্রাম থেকে সুবার্নরেখা নদী পেরিয়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি দাঁতাল সাঁকরাইলে ঢোকে। ব্লকের গড়ধরা, পাথরপাড়া, দক্ষিণদাঁড়িয়া, কিসমত রামানন্দপুর সহ বেশ কয়েকটি ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। শীতকালীন নানা মরসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মাঠে থাকা পাকা ধানও নষ্ট হয়েছে হাতির আক্রমণে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার হাতির পাল গ্রামে এসেছে। নষ্ট হয়েছে ফসল। এবারে প্রায় ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জমিতে তাণ্ডব চালায় হাতিগুলি। দামালদের দাপটে তাঁদের কাছে যাওয়ার সাহস না দেখালেও বন দফতরে খবর দেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, খবর পেলেও হাতি তাড়াতে কেউই আসেননি। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন সকলে। তুলেছেন ক্ষতিপূরণের দাবি।
এলাকার বাসিন্দা তুফান পাতর বলেন, “হাতির দল যেভাবে ফসলের ক্ষতি করেছে তাতে আমাদের সব শেষ হয়ে গিয়েছে। বন দফতরে খবর দেওয়া সত্ত্বেও কেউ আসেনি। এর আগেও হাতির হামলায় ফসল নষ্ট হয়েছিল, কিন্তু আমরা ক্ষতিপূরণ পাইনি। এবার ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। আমাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সে কারণেই আজকের এই বিক্ষোভ। বন দফতরের আধিকারিকদের এসে লিখিতভাবে আমাদের ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। না হলে আমরা আরও বড় আন্দোলনে যাব।”