কেশিয়ারি: সন্ধ্যা থেকেই এক বাচ্চাকে কোলে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) কেশিয়ারি রেলগেট এলাকায় ইতিউতি ঘুরতে দেখা গিয়েছিল এক ব্যক্তিকে। কেন সে এই এলাকায় ঘুরছে সে প্রশ্ন স্থানীয়দের মনে জাগলেও কেউ কোনও প্রশ্ন করেননি। এদিকে এর কিছুক্ষণ পরে রেললাইনের (Rail Line) কাছ থেকে আসতে থাকে এক বাচ্চার তীব্র কান্নার আওয়াজ। কান্না শুনে অনেকে ছুটে যান রেললাইনের কাছে। দৃশ্য দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। দেখা যায় রেল লাইনের উপর বসে কাঁদছে এক দেড় বছরের শিশু। স্থানীয়দের অনুমান বাচ্চাটিকে মেরে ফেলতেই শিশুটিকে রেল লাইনে রেখে এসেছিল ওর বাবা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাবা। যদিও তাঁকে দীর্ঘক্ষণ পাকড়াও করে রাখে স্থানীয়রা।
তবে শিশুটির বাবার দাবি, রেললাইনের পাশে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই তাঁর অলক্ষ্যে শিশুটি চলে আসে রেললাইনের কাছে। ওই ব্যক্তির দাবি দিন চারেক আগে থেকে তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ। স্ত্রীকে খুঁজতেই ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি। এদিকে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর যায় পুুলিশে। বেলদা থানার পুলিশ এসে শিশু সহ তার বাবাকে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির বাড়ি কেশিয়ারি থানার গগনেশ্বর এলাকায়। ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় তাঁর বাড়িতেও।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা পার্থপ্রতিম লাহিড়ী বলেন, “এক অপরিচিত ব্যক্তিকে আজ দীর্ঘক্ষণ এলাকায় বাচ্চা কোলে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। কেশিয়ারি সহ বিভিন্ন জায়গাতেই দেখা যায়। এলাকার ক্লাবের ছেলেরাও দেখে। অনেকে আবার বাচ্চা চুরি করে এনেছে ভেবেও সন্দেহ করে। এদিকে সন্ধ্যায় যখন ট্রেন আসার খবরের পর গেট পড়ে তখন দেখা যায় বাচ্চাটিকে অন্ধকারে নিয়ে চলে গিয়েছে। বাচ্চার কান্না শুনে সকলে ছুটে গিয়ে দেখে লাইনে বাচ্চাটিকে রেখে পাশে দাঁড়িয়ে আছে ওই ব্যক্তি। তখনই সকলে ছুটে গিয়ে কোনওক্রমে বাচ্চাটিকে বাঁচায়। তারপরই বেলদা থানায় ফোন করা হয়। এদিকে ভদ্রলোক শুরু থেকেই মদ খেয়ে ছিলেন। সেটাও পুলিশকে জানানো হয়েছে। তবে নিজেকে উনি বাচ্চার বাবা বলেই পরিচয় দেন। ওকে পাকড়াও করার পর উনি একবার বলেন আমার বাচ্চার দায়িত্ব আমি নিতে পারব না। আবার বলেন আমি বাচ্চাকে মারব না।”