পশ্চিম মেদিনীপুর: দাসপুরে মানবিকতার নজির। শীতের রাতে ডাম্পারের ধাক্কায় গুরুতর আহত সারমেয়, আর সেই সারমেয়র চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এল পথচলতি কয়েকজন যুবক। দ্রুত চিকিৎসকের খোঁজ করা হয়। চিকিত্সকের বাড়ির খোঁজ করে বাইকে তাঁকে নিয়ে আসেন তাঁরা। এরপর সারমেয়র চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা রাজনগর এলাকায় একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় সারমেয়টি আহত হয়। ঘাটাল মেদিনীপুর রাজ্য সড়কে প্রতিনিয়ত ডাম্পারের ধাক্কায় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাও গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
আর বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা অন্য। স্থানীয় কয়েকজন যুবক কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় রাস্তার ধারে এক সারমেয়র আর্তনাদ শুনতে পান। উত্স সন্ধান করে এগোতে থাকলে তাঁরা দেখেন, রাজ্য সড়কের ধারে এক সারমেয় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
দূরে থেকে একটি বালিবোঝাই ডাম্পারকে ঝড়ের গতিতে চলে যেতে দেখেন তাঁরা। তাঁরা বুঝতে পারেন ওই ডাম্পারের ধাক্কায় কুকুরটি আহত হয়েছে। দাসপুরের খড়দা বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সামন্ত ও তাঁর বন্ধুরা সারমেয়টিকে দেখে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
শীতের রাতে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই যুবকরা দ্রুত পশু চিকিত্সকের খোঁজ করেন। কিন্তু ওই এলাকায় কোন চিকিৎসক না থাকায় প্রায় ৫কিলোমিটার দূর থেকে পশু চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করান। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রত্যেক দিনই এইভাবে বালিবোঝাই গাড়ির দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। আহত হচ্ছেন পথ চলতি মানুষও। কখনও সাইকেল আরোহী, কখনও বাইক আরোহী কিংবা পথচারী- গাড়ি ধাক্কায় গত কয়েকদিনে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা হাসপাতালেও চিকিত্সাধীন।
বালি পাচারের জন্যই চালক ডাম্পারের গতি বাড়িয়ে দেন। রাজ্য সড়কে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। এলাকায় আরও বেশি পুলিশি নজরদারি ও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তা না হলে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো যাবে না বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়াই ইন্টারভিউয়ে ডাক! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি