ঘাটাল: ঘাটালের নির্বাচনের আগেই ‘বোমা’ ফাটিয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করলেন, গরুপাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের কোম্পানি থেকে টাকা ঢুকেছে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেব অধিকারী কাছে। অবশেষে সেই নিয়ে মুখ খুললেন দীপক। প্রশ্ন তুললেন, ইডি-সিবিআই-এর কাছে থাকা নথি কীভাবে এল বিরোধী দলনেতার হাতে?
আজ সংবাদ মাধ্যমের সামনে দেব জানিয়েছেন, যেহেতু গরুপাচার মামলার তদন্ত চলছে সেই কারণে এতদিন তিনি মুখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। কিন্তু নথি যখন বাইরে এসেই গিয়েছে তাহলে চুপ থেকে লাভ নেই। তৃণমূল প্রার্থী বলেছেন, “তিন দিন ধরে এমন একটা হাওয়া গরম করা হল যে বিশাল কিছু আসবে। এই ধমকানো-চমকানো-ব্ল্যাকমেইলের রাজনীতি খুব দুঃখজনক। আর শুভেন্দুদার মতো একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিক… এমনকী আমি সকালে ওনাকে মেসেজও করেছি এটা কী দরকার ছিল?” দেবের আরও সংযোজন, “আজ শেষ দিন প্রচারের। আমায় তো একটা উত্তর দিতে হবে। আমি এতদিন চুপ ছিলাম। এখন যেহেতু নথি বেরিয়েই গিয়েছে আমি বলতেই পারি। কেন বেরলো? কোথা থেকে বেরলো। এইবার আমার মনে হয়েছে আর ভদ্রতা করে লাভ নেই।”
দেবের প্রশ্ন, “এই তথ্য শুধু ইডি-সিবিআই আর হাইকোর্টের কাছে ছিল। শুভেন্দুদা কীভাবে পেল এটা?” তৃণমূল প্রার্থী এও প্রশ্ন তুলেছেন, তার মানে কি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ইডি-সিবিআই-এর যোগ রয়েছে? দেব বলেন, “আমার প্রশ্ন যা যা নথি গোয়েন্দারা পাচ্ছেন তা কি ওনারা পাঠিয়ে দিচ্ছেন? আজ অবধি আমি এই কারণে কিছু বলিনি কারণ একটা তো প্রসেস থাকে তদন্তের। আমি তো অভিযুক্ত নই এই কেসের। আমায় যতবার ডেকেছে বয়ান রেকর্ড করার জন্য। আমি আশ্চর্য হলাম এমন একটা সেনসিটিভ নথি কীভাবে বাইরে এলে।”
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে তারকা প্রার্থী বলেন, “দেব নামের লক্ষ মানুষ হতে পারে। যে জিনিসগুলি দেখানো হয়েছে আমার নয়। আমি ওই মানুষ নই। যে ৫০ লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে, সেই টাকা ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে ফেরত দিয়ে দিয়েছি। ইডি সিবিআই শুভেন্দু অধিকারীর থেকেও যথেষ্ঠ বুদ্ধি রাখে। গোয়েন্দারা যদি মনে করতেন আমি গরু চুরির সঙ্গে যুক্ত তাহলে এখন ইন্টারভিউ দিতাম না।”