খড়গপুর: রবিবার শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠানে থেকে ভবানীপুর কেন্দ্রে তিনি ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯৬৫ ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমোকে হারানো শুভেন্দু কি ফের মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁর, এ নিয়ে জল্পনা যখন গতি পেয়েছে, তখন তা উড়িয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) কে তাঁর কটাক্ষ, ‘শুভেন্দু তো একবার হারিয়েছেন, আর কতবার লড়বেন?
ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী নামের যে জল্পনা উঠেছিল তা এদিন উড়িয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। উল্টে তৃণমূল সুপ্রিমোকে উদ্দেশ্য করে তাঁর কটাক্ষ, “শুভেন্দু তো একবার হারিয়েছে, আর কত বার লড়বে, অন্য কেউ হারাবে? একই লোক বারে বারে হারাবে কেন?” দিলীপের দাবি ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন।
সোমবার মেদিনীপুর শহর লাগোয়া জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন শুভেন্দুর ফের ভোটে লড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন তিনি। একইসঙ্গে তৃণমূলের তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা প্রসঙ্গে বলেন, ‘ও তো আগে থেকেই ঠিক ছিল, ওদের আর কী করার আছে। প্রার্থী ঠিক করে তবেই গিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।”
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে একুশের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। স্বল্প ব্যবধানে হলেও হারতে হয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। যদিও সেই ফলাফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ফলাফলের ছয় মাসের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে যেকোনও কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। আর তাই এখন ভবানীপুরে উপনির্বাচন। সেখানে পদত্যাগ করেছেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এখন সেখানেই প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপি এখানে কাকে প্রার্থী করবে তা নিয়ে দলের অন্দরে জোর আলোচনা চলছে। বিভ্রান্তিও স্পষ্ট হচ্ছে। ভোটে যাবে, না আইনি পথে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করবে তা নিয়েও দোটানা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ, “চলতে থাকবে, ওটা নিয়ে চিন্তা করার বিষয় নেই।” অভিষেক প্রসঙ্গ এলে তা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। বলেন, কাউকে নিয়ে কিছু বলার নেই।
মেদিনীপুর শহর লাগোয়া জহর নবোদয় স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। স্কুলের কমিটিতে সাংসদ হিসেবে ওনার থাকার কথা। কিন্তু সেখানে প্রাক্তন সাংসদের নাম রয়েছে। এ নিয়ে সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, জহর নবোদয় বিদ্যালয় প্রতি জেলায় একটি করে রয়েছে। এখানে আমার ও মেম্বার থাকার কথা। কিন্তু আগের মেম্বারের নাম লেখা আছে। করোনা জন্য মাঝে কোন মিটিং হয়নি। ছুটি চলছে বাচ্চারা বাইরে। গতকাল শিক্ষক দিবস গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আজ কথা বলার সুযোগ হল। আরও পড়ুন: Exclusive Chandana Bauri: ‘আমি দল বদলাচ্ছি না’, অকপট শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা