মেদিনীপুর : ‘বাংলার সঙ্গে আফগানিস্তানের তুলনা হয়, গুজরাটের নয়।’ খড়গপুরে দাঁড়িয়ে বেঙ্গল ফাইলস নিয়ে ঠিক এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, “পুলিশ দিয়ে, লোভ দেখিয়ে, ২-৪ জনকে নিয়ে গেলে পার্টি শেষ হয়ে যায় না। আজও আমি বলছি, পার্টির কিছু আসে যায় না। যাঁরা এসেছেন লড়াই করার জন্য, তাঁরা থাকবেন।” এর পাশাপাশি ‘পশ্চিমবঙ্গ ফাইলস’ বনাম ‘গুজরাট ফাইলস’ যে বিতর্ক শুরু হয়েছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গুজরাট আর বাংলার মধ্যে ফারাক হচ্ছে বাংলা থেকে সবাই ছেড়ে বেরিয়ে যায়। আর গুজরাটে গোটা বিশ্বের মানুষ আসেন। আজকে প্রাণের ভয়ে হোক, কেসের ভয় হোক আর পেটের টানে হোক… সবাই বাংলা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। গুজরাটে মানুষের থাকা-খাওয়া সুরক্ষার ব্যবস্থা আছে। গুজরাটে রাতে রাস্তায় ঘুরে বেরালে কেউ জিজ্ঞাসা করে না।”
গুজরাটের পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলার পরিস্থিতির তুলনা টেনে তিনি বলেন, “এখানে বাচ্চাদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। বিরোধীদের হাজার-হাজার কেস দেওয়া হচ্ছে। মেরে গাছে টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে গুজরাটের সঙ্গে বাংলার তুলনা হয়না। বেঙ্গল ফাইলস হতেই পারে , বাংলার সঙ্গে আফগানিস্তানের তুলনা হতে পারে।” উল্লেখ্য, সোমবার কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ সরকার ‘পশ্চিমবঙ্গ ফাইলস’-এর কথা প্রথম তুলে ধরেন। বলেছিলেন, “আজ যেমন কাশ্মীর ফাইলস তৈরি হয়েছে, তেমনি আগামিদিনে পশ্চিমবঙ্গ ফাইলস তৈরি হবে।” মন্ত্রীর দাবি, কীভাবে মানুষকে মেরে কখনও গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কখনও হাইটেনশন তারে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই সব দেখা যাবে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফাইলসে’।
আর এই নিয়েই এখন চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই খোঁচা খাওয়ার পর পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল শিবিরও। কুণাল ঘোষ টুইটে প্রতিআক্রমণ শানিয়ে লিখেছেন, “আগে গুজরাট ফাইলস হোক। আর বাংলা করলে ট্রেলারেই থাকুক- শুভেন্দু ক্যামেরার সামনে নিচ্ছে।” এবার এই ‘পশ্চিমবঙ্গ ফাইলস’ বনাম ‘গুজরাট ফাইলস’ বিতর্ককে আরও উস্কে দিলেন দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে বাংলার সঙ্গে কেন গুজরাটের ‘তুলনা’ হয় না, সেই ব্যাখ্যাও দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি।