পশ্চিম মেদিনীপুর: “টাকা লাগিয়ে, ক্ষমতা লাগিয়েও কোনও লাভ হল না। পাহাড় তৃণমূলকে স্বীকার করবে না।” জিটিএ নির্বাচনে তৃণমূলের হার নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল যেভাবে পাহাড়কে অশান্ত করে রেখেছে, কাজ করতে দেওয়া হয়নি সেখানে। নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। ওখানকার মানুষ তৃণমূলকে স্বীকার করেন নি।” দিলীপ ঘোষেক বক্তব্য, “এদিক ওদিক করে অন্য পার্টি করে নির্বাচনে লড়েছে। ক্ষমতা লাগিয়ে, টাকা লাগিয়ে তৃণমূল জিততে পারেনি।” তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “মাত্র পাঁচটি সিট জিতেছে। ওখানকার মানুষ পরিত্যাগ করেছে। সেই জিটিএ-এর মাধ্যমে ওখানকার ক্ষমতার অন্দরে ঢোকার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তাও পারেনি কারণ পাহাড় তৃণমূলকে স্বীকার করবে না।”
প্রথম নির্বাচনেই বাজিমাত করেছেন অনীত থাপার দল। ৪৫ টি আসনের মধ্যে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ২৭ টি আসনে জিতল।দার্জিলিং পুরসভার শাসক দল হামরো পার্টি জিতেছে আটটি আসনে। ১০ টি আসনে লড়াই করে পাঁচটি আসন পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন অনীত থাপা।
পাহাড়ে গুরুংয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “গুরুং গোর্খাদের স্বপ্নকে পায়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। ওঁর সময়ে পাহাড়ে যা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে এবং দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আস্তে আস্তে পাহাড় আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে।” পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও এদিন কথা বলেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে এসে গিয়েছে। পশ্চিমবাংলায় সমস্ত ভোটই খুব গুরুত্বপূর্ণ । খুব টেনশনের মধ্যে হয়। গত বারে ভয়ঙ্কর হিংসার মধ্যে হয়েছিল নমিনেশনই করতে দেওয়া হয়নি। ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ভোট গণনার পরেও জোর করে টিএমসি-এর লোকেই জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে বহু জায়গায়।”