চন্দ্রকোনা: স্কুলের পরীক্ষা চলছে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ফার্স্ট সামেটিভ। অথচ পরীক্ষার সময়েই চলছে দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) শিবির। অন্য কোথাও নয়, স্কুলের ভিতরেই চলছে শিবির। লোকজনের আনাগোনাও চলছে। নিজেদের সমস্যা নিয়ে স্কুল চত্বরে দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে ভিড় করেছেন এলাকাবাসীরা। আর সেখান থেকে দশ হাত দূরেই চলছে পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবে এত মানুষের ভিড়ে হইহট্টগোল, কোলাহলও হচ্ছিল বেশ। আর এসবের মধ্যে বসেই পরীক্ষা দিতে হল পড়ুয়াদের। সামনেই এমন কোলাহলে যে পরীক্ষার্থীদের মনোসংযোগ নষ্ট হচ্ছে, তা মেনে নিচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকরাও। মঙ্গলবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক স্কুলে। চন্দ্রকোনার ২ নম্বর ব্লকের কুয়াপুর হাইস্কুলের এমন দৃশ্য প্রকাশ্যে আসতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় পঞ্চায়েত একে অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলছে।
কুয়াপুর স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্যামাপদ চক্রবর্তী বলছেন, পরীক্ষার সূচি বোর্ডের নির্ধারিত সময় মেনেই তৈরি করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য দুয়ারে সরকারের এই শিবির গতকাল অর্থাৎ, সোমবার হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও এক কারণে সোমবার (৩ এপ্রিল) ওই কর্মসূচির বদলে ৪ এপ্রিল আয়োজন করা হয়েছে। আর এই সবের জন্য যে পরীক্ষার্থীকে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে, সেই কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। স্কুলের অপর এক শিক্ষক মহাদেব রায়ও বলছেন, পরীক্ষার্থীদের সমস্যার কথা। উল্লেখ্য, স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ ৩ এপ্রিল দুয়ারে সরকারের শিবির আয়োজিত হলে, সেক্ষেত্রে এই সমস্যার কোনও কথা ছিল না। কারণ, গতকাল মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে ছুটি ছিল স্কুল।
কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েতের কী বক্তব্য এই বিষয়ে? কুয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শঙ্কর ঘোষ বলছেন, দুয়ারে সরকারের শিবির সূচি অনুযায়ী আজই আয়োজিত হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকে পাল্টা দায় ঠেলে তিনি বলছেন, স্কুলকে বলা হয়েছিল পরীক্ষা আগে নিয়ে নেওয়ার জন্য। যদিও এই দুয়ারে সরকার শিবিরের জন্য পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই দিকেও নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রধান। যদিও এলাকার বিডিও অমিত ঘোষ আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার।