Fake Voters: গ্রামে নেই, অথচ তালিকায় সংযোজিত ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ দম্পতি! সবংয়ে আজব কাণ্ড
Fake Voters: পাশাপাশি তার অভিযোগ বর্তমানে কেন্দ্রের শাসক দল যেভাবে নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগাচ্ছে এটা তাদেরই চরম গাফিলতি বলে অভিযোগ তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে ভুয়ো নাম বাদ দিয়ে সঠিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে।

পশ্চিম মেদিনীপুর: সবংয়ের ভোটার তালিকায় ‘ভূতুড়ে বন্দ্যোপাধ্যায়’! গ্রামে নেই, কিন্তু তালিকায় নাম ঠিকই! সবংয়ের বুড়াল ১২ নং অঞ্চলের বহবলপুর গ্রামে ভোটার তালিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। সংশোধনের আগে এই গ্রামের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৮৮৭ জন। কিন্তু সংশোধনের পর তালিকায় দেখা যাচ্ছে ভোটার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৮৯।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তালিকায় নতুন করে ঢুকে পড়েছে দুই নাম, বাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ( ভোটার লিস্টে ক্রমিক নম্বর ৮৮৮) ও মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় ( ভোটার লিস্টে ক্রমিক নম্বর ৮৮৭)। গ্রামবাসীদের দাবি, অনুযায়ী বহবলপুরে “বন্দ্যোপাধ্যায়” পদবীর কেউ বাস করেন না, এমনকি এই দুই ব্যক্তির কখনও গ্রামে দেখা মেলেনি বা ভোট দেওয়ার নজিরও নেই।
গ্রামবাসীরা প্রশ্ন, “যাদের অস্তিত্বই নেই, তাঁদের নাম কীভাবে ভোটার তালিকায় এল?” বিষয়টি নিয়ে বুড়াল অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তপন হাজরা নিজেও অবাক। তিনি বলেছেন, “আমিও বুঝতে পারছি না কীভাবে এই দুই নাম তালিকায় এল। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।”
পাশাপাশি তার অভিযোগ বর্তমানে কেন্দ্রের শাসক দল যেভাবে নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগাচ্ছে এটা তাদেরই চরম গাফিলতি বলে অভিযোগ তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে ভুয়ো নাম বাদ দিয়ে সঠিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
স্থানীয় বিএলও বুদ্ধদেব মাকড়ের অবশ্য বক্তব্য, তিনি বুঝতে পারছেন না এই দুটো নাম কোথা থেকে এল। তবে তিনি জানান পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী যা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন । তাঁর কথায়, “হঠাৎ দেখলাম, এই বার দুটো ভুয়ো ভোট সংযোজিত হয়েছে। কোনও অসাধু উদ্দেশ্যেই ভুয়ো কার্ড বানিয়েছেন কেউ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
বুড়াল অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি তপন হাজরা বলেন, “ওই দুই ব্যক্তির যে ওখানে কোনও অস্তিত্ব নেই, আমরাও খোঁজ নিয়ে দেখেছি। ভোটার তালিকা সার্ভে করে বাড়ি বাড়ি খোঁজ করে দেখেছি।”

