চন্দ্রকোনা: মাঠে চাষ করছিলেন কৃষকরা। সেই সময় প্রতিদিনের মতোই এলাকা পরিদর্শনে বের হন চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী। এরপর ক্ষীরপাই এলাকার মাঠে নেমে কৃষকদের কাছ থেকে আলুর হালহকিকত জানছিলেন। এবার এক কৃষককে ডেকে তিনি বলেন, “সরকার আলু নিচ্ছে ৬৫০ টাকা করে।” আর তা বলার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এক কৃষক। বিডিওকে বুঝিয়ে দিলেন আলু চাষের হিসেব।
রথীন্দ্রনাথ অধিকারী এ দিন কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “কার ৬৫০ টাকা কুইন্টাল হিসেবে আলু কিনছেন সরকারকে আলু দিন।” সেই সময় এক কৃষকের দাবি, সরকার হিসাব বোঝে না। এক কথায় আলুর খরচ উঠছে না। কৃষকরা রীতিমত ভর্তুকি দিয়ে আলু খাওয়াচ্ছেন শহরের লোককে। সরকার ৬৫০ টাকা করে আলু কিনবে এমন কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্লকের বিডিওকে এমনই উত্তর দিলেন এক কৃষক।
উল্লেখ্য, সরকার সহায়ক মূল্যে আলু কিনবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু খুশি নয় আলু চাষিরা। চাষিরা মাঠে ৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৬ টাকা প্রতি কেজি আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। লভ্যাংশ তো দূরের কথা কেজিপ্রতি আরও ১ টাকা দাম বাড়লে চাষের খরচ হয়ত উঠত। গ্রামীণ অর্থনীতি নির্ভর করে আলু চাষের ওপর। আর আলুর দাম না থাকাই ভেঙে পড়বে গ্রাম-গঞ্জের অর্থনীতি। আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা।