বেলদা: ভরা রাস্তাতেই বস্তার ভিতর চার মাসের সন্তানকে ঢুকিয়ে একের পর আছাড় খোদ বাবা-মায়ের। প্রতিবেশীরা বাধা দিতে গেলেও থামেনি। উল্টে শিশুটির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেয় পুলিশে। তারপর পুলিশ এসে একরত্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গ্রেফতার করা হয় দম্পতিকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার ঘটনা। সেখানেই বাস করতেন অজয় সিং ও সুস্মিতা সিং। বুধবার কাঁথি রাজ্য সড়কের কাছে খাকুড়দাতে ওই দম্পতি তাঁদের চার মাসের সন্তানকে একটি চটের বস্তায় ঢুকিয়ে রাস্তার উপর আছাড় মারতে থাকে। এরপর বস্তাতে আগুন ধরাতে যায় তারা। সঙ্গে-সঙ্গে পথচলতি মানুষ এবং এলাকাবাসীরা তা দেখতে পেয়ে তাদের বাধা দেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রথমে ওই দুই দম্পতি কোনও কথা শুনতে চাইছিলেন না। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাদের বচসা বেধে যায়। উত্তেজিত জনতার সঙ্গে হাতাহাতিও শুরু হয় বলে খবর।এরপর দু’জনকে ধরে রেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে বেলদা থানার পুলিশ এসে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীদের কাছে তারা স্বীকার করে তাঁদের নেশার কারণে এই অশান্তি। যদিও, সন্তানকে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী স্ত্রী দু জন পরস্পর পরস্পরের দিকে অভিযোগ তুলেছে।পরে বেলদা থানার পুলিশ ওই দম্পতিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।পরে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে একরত্তি বেলদা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
শিশুটির বাবা বলে, ‘আমি কিছুই করিনি। ও বাচ্চাটিকে বস্তার ভিতর ঢুকিয়ে পুঁতে রাখতে যায়। আমি বোতল কুড়াই। ঘরে ঝগড়া হয় বলে পালিয়ে এসেছি। কালকে একটু মদ খেয়ে নিয়েছি। কিন্তু আমি কিছু করিনি।’ অপরদিকে শিশুটির মা বলে, ‘ও মিথ্যে কথা বলেছে। আমি কিছুই করিনি। ও বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে ওকে মারতে চাইছিল। আমি কিছু করিনি।’