পশ্চিম মেদিনীপুর: রাত তখন অনেকটাই। হঠাৎই প্রয়োজন পড়ায় মাঠে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলেন। তখন মাঠের ধারে ঝোপের মধ্যে বসেছিলেন তাঁরা। সুযোগ বুঝে পিছন থেকে বছর তেরোর মেয়েটিকে টেনে নিয়ে যায়। তারপর সেখানেই চলে অত্যাচার। আবারও পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা এলাকায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মাস খানেক আগেই ডেবরায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। একই অভিযোগ ওঠে আনন্দপুর থানা এলাকাতেও। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাতে মাঠে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল ১৩ বছরের ওই নাবালিকা। সে সময় মাঠের মধ্যেই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
রাতে অত্যাচারের পর ওই অবস্থাতেই বাড়ি ফিরে আসে সে। শুক্রবার সকালে ওই নাবালিকা অসুস্থবোধ করলে বাড়ির লোকেরা তাকে প্রশ্ন করতে থাকেন। প্রথমে ভয়ে মুখ না খুললেও, পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে গোটা বিষয়টি জানায় সে।
শুক্রবার দুপুরে তাঁকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এখনও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমা ভবনে চিকিৎসাধীন ওই নাবালিকা। অপরদিকে, শুক্রবার বিকালেই গড়বেতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ জনকে শনিবার গ্রেফতার করেছে গড়বেতা থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক। শনিবার বিকেলে ধৃতদের মধ্যে ৪ জনকে পেশ করা হয় মেদিনীপুর আদালতে। একজন নাবালক হওয়ায় তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে পেশ করা হয়।
মেদিনীপুর আদালতের বিচারক ধৃতদের প্রত্যেককেই ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ তিনেক আগেই ডেবরায় গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মাটির দরজা ভেঙে মাঝরাতে দুই মহিলাকে পুকুরপাড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ, ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে।