পশ্চিম মেদিনীপুর: সরস্বতী পুজোয় প্রতিমা দর্শনের পর রাতে বাইকে ফিরছিলেন বন্ধুরা। রাস্তা ফাঁকা থাকায় গতি ছিল ঝড়ের মতো। হু হু করে বাইক চালাচ্ছিল দুপক্ষই। অতঃপর মুখোমুখি হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন দুই বাইক চালকই। দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দু’জনের। বাকি তিন জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সরস্বতী পুজোর রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুরের চাঁইপাট এলাকায়। আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতদের নাম ওয়াসিম খান (১৪) ও সুমন সাঁতরা (২৮)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে ঘুড়ি ওড়ানোর পর বিকালে বন্ধুরা সব একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। গিয়েছিলেন ওয়াসিম ও সুমনও। বাইকেই গিয়েছিলেন তাঁরা। রাতেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাইকের গতিবেগ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। ঝড়ের গতিতে ছুটছিল বাইক। দূর থেকেই তাঁরা তা দেখতে পেয়েছিলেন। দাসপুরের চাঁইপাট এলাকায় আচমকাই উল্টো দিক থেকে আরও একটা বাইক চলে আসে। সেই বাইকেরও গতিবেগ বেশি ছিল।
ফলে কাছাকাছি চলে আসায় দুই বাইকের কোনও চালকেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। বাইক দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাইকের সামনের অংশ দুমড়ে মুছড়ে যায়। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান সকলে। সুমন ও ওয়াসিমের মাথায় হেলমেটও ছিল না। বাইক থেকে ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ায় মাথায় গুরুতর চোট লাগে তাঁদের। মুখের সামনের অংশও থেঁতলে যায়।
দুই বাইকের বাকি তিন আরোহীও রাস্তায় পড়ে কাতরাতে থাকেন। আওয়াজ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে সোনামুখী হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের আঘাতও গুরুতর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ। মৃতদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে স্থানীয়দের তৎপরতায় আহতদের দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হওয়ায়, তাঁদের বাঁচানো গিয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “একে অন্ধকার রাস্তা। ভালোভাবে সব দেখা যায়। তার ওপর হু হু বাইক দুটো আসছিল। সামনাসামনি চলে আসায় কেউই আর পাশ কাটিয়ে যেতে পারেনি। মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। প্রত্যেকটাই বাচ্চা ছেলে। দুটো তো স্পট হয়েছে। বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। তাড়াতাড়ি তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “চোখের নিমেশে ঘটনাটা ঘটল। দেখছিলাম দূর থেকে বাইকটা আসছে। হঠ করে সামনে আরেকটা বাইক চলে এল আর ভীষণ জোরে ধাক্কা। মুখ চোখ থেঁতলে গিয়েছে এক-এক জনের।”
পুলিশ খতিয়ে দেখছে, আদৌ মত্ত অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিল কিনা। মৃত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
পশ্চিম মেদিনীপুর: সরস্বতী পুজোয় প্রতিমা দর্শনের পর রাতে বাইকে ফিরছিলেন বন্ধুরা। রাস্তা ফাঁকা থাকায় গতি ছিল ঝড়ের মতো। হু হু করে বাইক চালাচ্ছিল দুপক্ষই। অতঃপর মুখোমুখি হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন দুই বাইক চালকই। দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দু’জনের। বাকি তিন জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সরস্বতী পুজোর রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুরের চাঁইপাট এলাকায়। আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতদের নাম ওয়াসিম খান (১৪) ও সুমন সাঁতরা (২৮)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে ঘুড়ি ওড়ানোর পর বিকালে বন্ধুরা সব একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। গিয়েছিলেন ওয়াসিম ও সুমনও। বাইকেই গিয়েছিলেন তাঁরা। রাতেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাইকের গতিবেগ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। ঝড়ের গতিতে ছুটছিল বাইক। দূর থেকেই তাঁরা তা দেখতে পেয়েছিলেন। দাসপুরের চাঁইপাট এলাকায় আচমকাই উল্টো দিক থেকে আরও একটা বাইক চলে আসে। সেই বাইকেরও গতিবেগ বেশি ছিল।
ফলে কাছাকাছি চলে আসায় দুই বাইকের কোনও চালকেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। বাইক দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাইকের সামনের অংশ দুমড়ে মুছড়ে যায়। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান সকলে। সুমন ও ওয়াসিমের মাথায় হেলমেটও ছিল না। বাইক থেকে ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ায় মাথায় গুরুতর চোট লাগে তাঁদের। মুখের সামনের অংশও থেঁতলে যায়।
দুই বাইকের বাকি তিন আরোহীও রাস্তায় পড়ে কাতরাতে থাকেন। আওয়াজ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে সোনামুখী হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের আঘাতও গুরুতর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ। মৃতদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে স্থানীয়দের তৎপরতায় আহতদের দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হওয়ায়, তাঁদের বাঁচানো গিয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “একে অন্ধকার রাস্তা। ভালোভাবে সব দেখা যায়। তার ওপর হু হু বাইক দুটো আসছিল। সামনাসামনি চলে আসায় কেউই আর পাশ কাটিয়ে যেতে পারেনি। মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। প্রত্যেকটাই বাচ্চা ছেলে। দুটো তো স্পট হয়েছে। বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। তাড়াতাড়ি তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “চোখের নিমেশে ঘটনাটা ঘটল। দেখছিলাম দূর থেকে বাইকটা আসছে। হঠ করে সামনে আরেকটা বাইক চলে এল আর ভীষণ জোরে ধাক্কা। মুখ চোখ থেঁতলে গিয়েছে এক-এক জনের।”
পুলিশ খতিয়ে দেখছে, আদৌ মত্ত অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিল কিনা। মৃত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা