ঘাটাল: আয়োজন হয়েছিল আর পাঁচটা বিয়েবাড়ির মতোই। ছিল মাছ-মাংসের পদ, মিষ্টি সবই। কিন্তু সেই বউভাতের ভোজ খেয়ে বাড়ি ফিরতেই বিপত্তি। মাঝরাত থেকে শুরু বমি। সকালের আলো ফোটার আগেই একে একে হাসপাতালে হাজির হলেন বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিত অতিথিরা। ইতিমধ্যেই অন্তত ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে রয়েছে ৪ শিশুও। এছাড়া মোটের ওপর শতাধিক অতিথি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের ঘটনা। জানা গিয়েছে, ঘাটাল ব্লকের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়ের ছেলে সৌরভের বিয়ে হয় শীতলপুর গ্রামের রিঙ্কির ভুঞ্জার সঙ্গে। আর সেই বিয়ের পর শুক্রবার ছিল বউভাত। প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। গ্রামের মানুষদের পাশাপাশি কনের বাড়ি থেকে আত্মীয়রাও গিয়েছিলেন সেই প্রীতিভোজো অংশ নিতে। খাওয়া-দাওয়ার পর রাত থেকেই অসুস্থ হতে থাকেন অনেকে। শনিবার সকাল থেকে আরও বাড়ছে অসুস্থের সংখ্যা। যদিও হাসপাতালে সূত্রে খবর, খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ বলছেন অসুস্থের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আমন্ত্রিত এক আত্মীয় জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে ঘাটালে বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। খেতে বসে প্রথম থেকে সব পদ খান তিনি। মাংসও খান। দ্বিতীয়বার মাংস চেয়ে তিনি দেখতে পান, পোকার মতো কিছু একটা পড়ে রয়েছে তাতে। আর সেটা দেখে পরিবেশককে জিজ্ঞাসা করলে, তাঁরা চুপ করে যেতে বলেন। পরে ওই ব্যক্তির প্লেট পাল্টে দেন। তবে সেটাই যে এমন বিপদ ডেকে আনবে, সেটা ভাবতে পারেননি তিনি। পরে বাড়ি ফেরার পর তাঁরও একই অবস্থা হয়। মাঝরাত থেকে বুকে কষ্ট শুরু হয়, তারপর হয় বমি। ভোরেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় তাঁকে।
কাদের গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে মনে করছে, খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আমন্ত্রিত অতিথির অন্তত ৯০ শতাংশই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।